ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

প্রতীকী ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: 

প্রচণ্ড তাপদাহ ও গরমের মাঝে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ঠাকুরগাঁওবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো।  

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ বলছে, জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ৫০ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ মিলছে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট।

আর পিডিবির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মধ্যে রাতে ও দিনে ২১ মেগাওয়াট করে বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও তা পাওয়া যাচ্ছেনা। চাহিদা মেটাতে ৩৫% লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে।

জানা যায়, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ বার লোডশেডিং এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ ফিরে না আসা নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিনত হয়েছে। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারিদের মাঝে।

এদিকে সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক-বীমা, ছোট বড় পোল্ট্রি ও ডেইরী খামার, ওয়ার্কশপ,  বিপনী বিতাণ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা কেন্দ্রসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থী ও পরিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১০ থেকে ১১ ঘন্টাই বিদ্যুৎ থাকে না। শিক্ষার্থীরা যেমন লেখাপড়া করতে পারে না তেমনি বয়স্ক লোকজন প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। দিনে রাতে এ লোডশেডিংয়ে জেলা উপজেলা শহরসহ গ্রামঞ্চলের শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ অসহ্য যন্ত্রণায় পড়েছে। মধ্যরাতের লোডশেডিংয়ে প্রচণ্ড গরমে ঘরে ঘরে শোনা যায় শিশুদের কান্নার আওয়াজ। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) আবু আসরাফ মোহাম্মাদ ছালেহ নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। তবে খুব দ্রুতই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

news24bd.tv/কামরুল