ঝড়ো ব্যাটিংয়ে চেষ্টা করলেও দলকে জেতাতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। ফলে ১৭ রানে হেরে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৮ রান। সমীকরণটা ছিল প্রায় অসম্ভব।
এর আগে টসে জিতে বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠায় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশ দলের ছন্নছাড়া বোলিং ও দুর্বল ফিল্ডিংয়ের সুবাদে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। ২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ফিরে যান মুনিম শাহরিয়ার।
তারপর দারুণভাবে ব্যাট করা লিটন দাস অদ্ভূতভাবে আউট হন। শন উইলিয়ামসের বলে স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। রিচার্ড এনগারাভা ক্যাচ নিলেও তা হাতে রাখতে পারেননি। কিন্তু লিটন সেটি খেয়ালই করেননি। নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা এনামুল হক বিজয়ের ডাকে সাড়া না দিয়ে ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা ধরেন। তখন আম্পায়াররা থামান তাকে। তবে এরই মধ্যে উইলিয়ামস নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দেন। উইলিয়ামস যখন নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভেঙেছেন, লিটন তখন ক্রিজের বাইরে। ফলে রান আউট হলে যান লিটন।
এর দুই ওভার পরই ২৬ রান করে আউট হয়ে যান এনামুল হক বিজয়ও। সিকান্দর রাজার বলে ক্যাচ তুলে দেন বিজয়।
কিছুক্ষণ পর আফিফ হোসেনও ১০ করে আউট হয়ে গেলে বড় চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
স্বল্প বিরতির পর শান্ত ও আফিফও ফিরে যান। এরপর মোসাদ্দেকও ফিরে যান ১৩ রানে।
সবশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ থামে ৬ উইকেটে ১৮৮ রানে।
এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৫ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের এই বড় সংগ্রহে বড় অবদান তিনে নামা ওয়েসলি মাধেভেরে ও পাঁচে নামা সিকান্দার রাজার। ৪৬ বলে ৬৭ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন মাধেভেরে। ২৬ বলে ৬৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রাজা। চতুর্থ উইকেটে এই দুজন মাত্র ৪৩ বলে গড়েন ৯১ রানের জুটি।
প্রথম ১০ ওভারে জিম্বাবুয়ে তুলতে পেরেছিল মাত্র ৭৪ রান। মাধেভেরে-রাজার ঝড়ে শেষ ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্বাগতিকরা তুলে ৭৭ রান। শন উইলিয়ামস ১৯ বলে ৩৩ ও অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ১৮ বলে ২১ রান করেন।
বাংলাদেশের তিন পেসারই ছিলেন খরুচে। দুই উইকেট নিলেও ৪ ওভারে মুস্তাফিজ দিয়েছেন ৫০ রান। শরিফুল ইসলাম ৪৫ ও তাসকিন আহমেদ ৪২ রান খরচ করলেও পাননি কোনো উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৮ রান। কিছুটা ‘কৃপন’ বোলিং করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে শিকার করেছেন একটি উইকেট।
সিকান্দার রাজা ২৬ বলে অপরাজিত ৬৬ রানের পাশাপাশি বল হাতেও নিয়েছেন এক উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতেই।
স্কোর:
বাংলাদেশ:
১৮৮/৬ (মুনিম শাহরিয়ার ৪, লিটন দাস ৩২, এনামুল হক বিজয় ২৬, নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৭, আফিফ হোসেন ১০, নুরুল হাসান ৪২*, মোসাদ্দেক ১৩, নাসুম ০*)।
রিচার্ড এনগারাভা ২-০-৪৩-১, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ৩-০-২৩-১, সিকান্দর রাজা ৩-০-৩০-১, লুক জংউই ৪-০-৩৪-২)।
জিম্বাবুয়ে:
২০৫/৩ (মাধেভেরে ৬৭* রিটায়ার্ড হার্ট, সিকান্দর রাজা ৬৫*, শন উইলিয়ামস ৩৩, আরভিন ২১, চাকাভা ৮)।
তাকসিন ৪-০-৪২-০, নাসুম ৪-০-৩৮-০, মোস্তাফিজ ৪-০-৫০-২, মোসাদ্দেক ২-০-২১-১, শরিফুল ৪-০-৪৫-০, আফিফ ১-০-৬-০।
news24bd.tv তৌহিদ