নানা অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। পরিধি বাড়লেও কমতে শুরু করেছে প্রাণীর সংখ্যা। একদিকে লোকবল সংকট অন্যদিকে নেই পর্যাপ্ত খাবার। প্রবেশপথে হাতি ও জিরাফের প্রতীক দেখা গেলেও নেই এসব প্রাণী।
চিড়িয়াখানায় এসে হতাশ দর্শনার্থীরাও।ছুটোছুটি করছে উল্লুক। কিচিরমিচির শব্দে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বাড়লেও, আসলে ক্ষুধার জ্বালায় লাফাচ্ছে সে। সকাল থেকে দুপুর গড়ালেও দেয়া হয়নি কোন খাবার।
এক সময়ের অন্যতম আকর্ষণ এই চিড়িয়াখানায় এখন নেই হাতি, জলহস্তি ও জিরাফ। সিংহের প্রতিও তেমন আকর্ষণ নেই দর্শনার্থীদের। বয়সের ভারে বংশবৃদ্ধি করতে পারেনা সিংহ। তবে সংখ্যায় বেশি হলেও নেই বাঘেরও যত্ন। কুমির কমতে কমতে আছে এখন দুটি। কমে গেছে অন্যান্য প্রাণীও। হতাশ দর্শনার্থীরা।
লোকবল সংকটে ভুগছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। সব পশুদের জন্য মাত্র একজন চিকিৎসক। খাঁচার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও খাবার সরবরাহকারীর সংখ্যাও অপ্রতুল।
অবশ্য জেলা প্রশাসন বলছে, দ্রুত হাতি, জিরাফ ও জলহস্তি আনার চেষ্টা করছেন তারা।
চিড়িয়াখানায় টিকিটের মাসিক আয় আয় ৪০ লাখ টাকা। আর সব মিলিয়ে খরচ হয় ১৫ লাখ টাকা। লাভে থাকার পরও কেন চিড়িয়াথানার বেহালদশা, জানতে চায় দর্শনার্থীরা।
news24bd.tv/কামরুল