চলন্ত বাসে ডাকাতির পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূলহোতা গ্রেপ্তার

ডাকাতির মূলহোতা রাজা মিয়া

চলন্ত বাসে ডাকাতির পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূলহোতা গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক

টাঙ্গাইলের মধুপুরে একটি নৈশ্য কোচে যাত্রীবেশে ডাকাতি ও এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোরে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। টাঙ্গাইলের জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ২৪/২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।

গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে সেখান থেকে কয়েকজন ডাকাত যাত্রী বেশে ওই বাসে উঠে পড়ে। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়। এরপর ডাকাতদল বাসটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বাসে থাকা যাত্রীদের হাত, পা ও চোখ বেঁধে মারধর ও টাকা-পয়সা লুটপাট করে।
 

এ সময় বাসের ভেতরেই এক নারীকে ডাকাতদল ধর্ষণ করে এবং ভোর সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বাসটি বালুর ডিবির মধ্যে উল্টিয়ে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে নির্যাতনের শিকার নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সন্ধ্যায় শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন জানান, বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেলে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য বিরতি দেয়। রাত দেড়টার দিকে আবার যাত্রা শুরু করে। পথে কাঁধে ব্যাগ বহনকরা ১০/১২ জন তরুণ যাত্রী উঠেন। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ওই তরুণ দল অস্ত্রের মুখে একে একে যাত্রীদের সবাইকে বেঁধে ফেলে।

কয়েক মিনিটের মধ্যে সব যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। এরপর এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে তারা। পরে বাসটি বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে তিন ঘণ্টার মতো নিয়ন্ত্রণে রাখে। এরপর পথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালির ডিবিতে বাসটি উল্টিয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন বলেও জানান ওসি।

news24bd.tv/কামরুল