তাইওয়ানের চারপাশে ‘অভূতপূর্ব’ সামরিক মহড়া শুরু চীনের

সংগৃহীত ছবি

বিবিসি ও আল-জাজিরা

তাইওয়ানের চারপাশে ‘অভূতপূর্ব’ সামরিক মহড়া শুরু চীনের

অনলাইন ডেস্ক

ন্যান্সি পেলোসির সফরকে কেন্দ্র করে তাইওয়ানের আকাশে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। স্থানীয় সময় ভোর চারটার দিকে এই সামরিক মহড়া শুরু করে দেশটি। আগামী তিনি দিন অর্থাৎ ৭ আগস্ট পর্যন্ত চলবে চীনের এই সামরিক মহড়া। এ ঘটনাকে এই অঞ্চলের স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা বলে অভিহিত করেছে তাইওয়ান।

খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি চীনের সতর্কতার মধ্যেই গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) তাইওয়ান সফর করেন। এতে চরম ক্ষুব্ধ হয় চীন। কারণ নিজেদের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখণ্ডতার গুরুতর লঙ্ঘন বলে মনে করে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি বলেছে, এই সফর চীন-মার্কিন সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তির ওপর গুরুতর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।

 

এই সামরিক মহড়াকে চীনের দিক থেকে বড় প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও দেশটি তাইওয়ানের ওপর কিছু বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বেইজিং জানিয়েছে, তাদের মহড়ার মধ্যে তাজা গোলাবারুদ এবং স্বল্প ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার ব্যবহার করা হবে।  

অপরদিকে চীনের সামরিক মহড়াকে নিজেদের প্রতি সমুদ্র ও বিমান অবরোধ হিসেবে বিবেচনা করছে তাইওয়ান। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এই সামরিক মহড়াকে অপ্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেছে। একই সাথে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, এই প্রতিক্রিয়া এক সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।  

বিশ্লেষক বনি লিন বিবিসিকে বলেছেন, তাইওয়ান বুঝেশুনে এই প্রতিক্রিয়ার জবাব দেবে। তবে এখনও এখানে সংঘাতের ঝুঁকি রয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, চীন যদি তাইওয়ানের আকাশে বিমান উড্ডয়ন করে তাহলে দেশটি তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। ফলে আমরা একটি ছোট বিমান সংঘর্ষ দেখতে পারি। একই সাথে আরও ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্য দেখতে পারি।     

চীনা সামরিক মহড়াকে কেন্দ্র করে তাইওয়ান জানিয়েছে, তারা নিজেদের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে ইতোমধ্যে চীনা বিমানগুলোকে লক্ষ্য করে সতর্কতামূলক গুলি ছুড়েছে। এছাড়া সম্প্রতি তারা সাইবার অ্যাটাকের শিকার হয়েছে। একই সাথে দেশটি এই অঞ্চল দিয়ে চলাচলকারী জাহাজগুলোকে ভিন্ন পথ ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছে।  

নিজেদের অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে চীন সামরিক মহড়া চালাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাপান। তবে বেইজিং জানিয়েছে, তারা জাপানের তথাকথিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের ধারণাকে গ্রহণ করে না।  

news24bd.tv/আলী