সাধারণ নাগরিকের জীবন হুমকির মুখে ফেলছে ইউক্রেন : অ্যামনেস্টি

সিএনএন

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন

সাধারণ নাগরিকের জীবন হুমকির মুখে ফেলছে ইউক্রেন : অ্যামনেস্টি

অনলাইন ডেস্ক

ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকদের জীবন হুমকির মুখে ফেলছে সেদেশের সেনাবাহিনী।  ইউক্রেনীয় সেনাদের যুদ্ধের কৌশল তাদের নাগরিকদের ‍আক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এমনটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন সেনাবাহিনী স্কুল, হাসপাতাল সহ জনবহুল আবাসিক এলাকায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে।

এসব স্থান থেকে রাশিয়ান বাহিনীকে যখন আক্রমণ করা হচ্ছে তখন সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অ্যামনেস্টির মত হলো, এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে ইউক্রেন।  

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল এগনেস কালামার্ড বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলা ও যুদ্ধের আইন না মানার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ইউক্রেন সেনাদের মাঝে। রক্ষণাত্বক অবস্থানে থাকা ইউক্রেনকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের স্বাধীনতা দেয় না।

অ্যামনেস্টি বলছে, রাশিয়ার করা হামলার সব জায়গায় ইউক্রেন সেনাদের যুদ্ধের এই ধরণ বা কৌশল মেলেনি। তবে কিছু জায়গায় বিশেষ করে খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।   

এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মাঝে খারকিভ, ডনবাস এবং মাইকোলাইভ অঞ্চলে রাশিয়ার করা হামলার ধরণ অনুসন্ধান করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষকরা। এসময় আক্রমণের স্থান, প্রত্যক্ষদর্শী এবং আক্রমণের শিকার ব্যাক্তির আত্মীয়-স্বজনদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়; অস্ত্র চালনার কৌশল বিশ্লেষণ করা হয়।  তদন্তে জানা যায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী জনবহুল আবাসিক এলাকার মধ্যে থেকে হামলা চালানো এবং পাশাপাশি এ অঞ্চলের ১৯টি শহর ও গ্রামের বেসামরিক ভবনে তাদের অবস্থানের প্রমাণ পেয়েছে। এসব ঘটনা নিশ্চিত করার জন্য স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করেছে সংস্থাটির ’ক্রাইসিস এভিডেন্স ল্যাব’ ।

গবেষকরা অন্তত পাঁচটি হাসপাতালকে সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে দেখেছেন। অথচ সামরিক উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী নিয়মিতভাবে ডনবাস এবং মাইকোলাইভ এলাকায় শহর ও গ্রামে স্কুলে ঘাঁটি স্থাপন করেছে। সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে স্কুলগুলি সাময়িকভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভবনগুলি জনবহুল বেসামরিক এলাকার কাছাকাছি অবস্থিত ছিল। এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষকদের পরিদর্শন করা ২৯টি স্কুলের মধ্যে ২২টিতে সৈন্যদের সামরিক কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে।

news24bd.tv/আজিজ