ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি আজ

ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি আজ

অনলাইন ডেস্ক

ফুটবলে ভারতের মুখোমুখি হওয়া মানেই বিশেষ কিছু। এই অঞ্চলে ভারত পরাশক্তি হলেও বাংলাদেশ বারবার এই পরাশক্তিকে কাঁপিয়ে  রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। অনূর্ধ্ব-২০ সাফের আজ আবার সেই রোমাঞ্চের অপেক্ষা। শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিততে ভুবনেশ্বরে মুখোমুখি দুই দেশের যুবারা।

এই ম্যাচ উত্তাপ না ছড়িয়ে পারে না। ২০১৯ সালে গত সাফের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। তাতে তিনবার লাল কার্ড বের করতে হয়েছিল রেফারিকে। বাংলাদেশের ইয়াসিন আরাফাত গোল করে জার্সি খুলে দেখেছিলেন লাল কার্ড।

আগেই যে একটি হলুদ কার্ড ছিল, উত্তেজনাবশে সেটি ভুলেই গিয়েছিলেন তিনি! ম্যাচটি একেবারে শেষ সময়ে গিয়ে ২-১ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ।  

এর আগে ২০১৭ সালে পুল ম্যাচে তিন গোলে পিছিয়ে পড়েও ৪-৩ গোলে জয়ের অমর কাব্য রচনা করেছিল বাংলাদেশ। লিগ পদ্ধতির সে আসরে নেপালের সঙ্গে সমান পয়েন্ট, গোল ব্যবধান নিয়েও হেড টু হেডে রানার্স আপ হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে যুবাদের প্রথম সাফে ভারতের কাছেই সেমিফাইনালে হার টাইব্রেকারে। এ আসরের শিরোপা জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছেও তাই শেষ হাসিটা হাসা হয়নি বাংলাদেশের ছেলেদের। এবার সেই অপেক্ষা কি ফুরাবে?

ফাইনালে ওঠার পথে ভারতের বিপক্ষে জয়ের আত্মবিশ্বাস এবার বাড়তি শক্তি বাংলাদেশের। দলের অধিনায়ক তানভীর হোসেনের কণ্ঠেও তাই প্রত্যয়, ‘এখনো পর্যন্ত আমরা পরিকল্পনামতো এগিয়েছি। ভারতকেও হারিয়েছি প্রথম ম্যাচে। এই ম্যাচটি জিতে আমরা ট্রফি নিয়ে ফিরতে চাই। ’ এবারের আসরে প্রথম সাক্ষাতে হারের পর স্বভাবতই বাংলাদেশ নিয়ে আরো সতর্ক।  

একই ভুল তারা দুইবার করতে চায় না। গতকাল ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছেন ভারতের কোচ শানমুগাম ভেঙ্কটেশ, ‘বাংলাদেশ ভালো দল আর সেটা তারা আমাদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই দেখিয়েছে। আমাদের শুরুতে সমস্যা হচ্ছিল, তবে সেটা পরের ম্যাচগুলোতে ভালোভাবেই কাটিয়ে উঠেছি। এখন দলটি আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। ’

বাংলাদেশ কোচ পল স্মলিও এই ভারতকে সমীহ করছেন। তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি ম্যাচ হবে বলেই তাঁর মনে হচ্ছে, ‘ভারত এই টুর্নামেন্টে কিভাবে তাদের খেলা বদলেছে, কোথায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে, সেটা আমরা ভালোভাবেই দেখেছি। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। নিশ্চিত তারাও তা-ই করছে। ম্যাচটি তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। ’ দাপটে ফাইনালে ওঠা শিষ্যদের প্রশংসা করেছেন পল স্মলি।  

ফাইনালে ওঠাটাই প্রথম লক্ষ্য ছিল জানিয়ে খেলোয়াড়দের তিনি অভিনন্দন জানানোর পর শুনিয়েছেন শেষ ম্যাচ উপভোগের মন্ত্র, ‘ফাইনালে চাপ থাকবেই। এই পর্যায়ে জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করাটা সব সময় চাপের। খেলোয়াড়রা এখনো পর্যন্ত তা দারুণভাবে সামলে এসেছে। আমরা কোনো ম্যাচ হারিনি। অনেক কঠিন পরিস্থিতি গেছে। সেসব তারা সামলেছে। এখন ফাইনালের জন্যও নিশ্চিত ওরা মুখিয়ে আছে। ’ দলের অন্যতম সেরা পারফরমার পিয়াস আহমেদও বলেছেন অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে বা চাপ না নিয়ে তাঁরা শুধু ভালো খেলার ধারাবাহিকতা রাখতে চান এই ম্যাচে।

news24bd.tv/কামরুল