তেলের দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা দিল সরকার

তেলের দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা দিল সরকার

অনলাইন ডেস্ক

ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। নতুন এই সিদ্ধান্ত শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা থেকেই কার্যকর করা হয়। এদিকে তেলের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছে সরকার সরকার।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যায় জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রিতে ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকার বেশি লোকসান দিয়েছে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি।

বিবৃতিতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যত দিন সম্ভব ছিল, তত দিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির চিন্তা করেনি।

অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরূপায় হয়েই দাম কিছুটা সমন্বয়ে যেতে হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রীর আরও বলেছেন, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের দাম পুনর্বিবেচনা করা হবে।

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেশে দাম কম থাকায় তেল পাচারের আশঙ্কার কথাও উল্লেখ করেছে।  

যদিও এত দাম বাড়ানো তাদের চিন্তার বাইরে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আরও সহনীয় করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক