জনগণের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত: আ'লীগ

জনগণের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত: আ'লীগ

অস্বাভাবিকভাবে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে ভোগান্তিতে পড়েছে দেশের সাধারণ মানুষ। শনিবার সকাল থেকেই রাস্তায় গণপরিবহনের সংকট দেখা গেছে। সেইসাথে অনৈতিকভাবে ভাড়া বৃদ্ধির অভিযোগ যাত্রীদের। সরকারের এমন পদক্ষেপের বিষয়ে এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি পরিষ্কার করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

শনিবার দুপুরে দলটির ভেরিফাইড অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করা হয়। পোস্টে বলা হয়- 'বিপিসি’র ব্রেক ইভেন অর্থ আন্তর্জাতিক বাজারে যদি ডিজেল প্রতি ব্যারেল ৭৪.০৪ ডলার এবং অকটেন প্রতি ব্যারেল ৮৪.৮৪ ডলারে নেমে আসে তবে ডিজেল ও অকটেন প্রতি লিটার যথাক্রমে ৮০.০০ টাকা ও ৮৯.০০ টাকায় অর্থাৎ আগের (৫ আগস্ট ২০২২) মূল্যে বিক্রয় করা সম্ভব হত যা এখন প্রায় অসম্ভব। একইভাবে অপরিশোধিত তেলের মূল্য জুন’২২ মাসে ব্যারেল প্রতি ১১৭ মার্কিন ডলার অতিক্রম করে যা এখনও অব্যাহত আছে। '

পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়।

যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করেনি। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই জ্বালানী তেলের মূল্য সমন্বয়ে বাধ্য হচ্ছে সরকার। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃসমন্বয় করবে সরকার।

বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।
অন্যান্য দেশ অনেক আগেই তাদের জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে। আর বাংলাদেশ সরকার ভর্তুকি দিয়ে এসেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্যও অপেক্ষা করেছে। বর্তমানে, আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে মূল্য সমন্বয় করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

পোস্টে বলা হয়, ভারত ২২ মে ২০২২ তারিখ থেকে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করেছে। এই মূল্য বাংলাদেশী টাকায় যথাক্রমে ১১৪.০৯ টাকা এবং ১৩০.৪২ টাকা। ( ১ রুপি = গড় ১.২৩ টাকা)। বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ এবং পেট্টোল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা কমে বিক্রয় হচ্ছিল। মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ। এশিয়ার অনান্য দেশ যেমন - নেপালে ডিজেল ১২৭ টাকা, ইন্দোনেশিয়া ১৩৮, সিঙ্গাপুর ১৮৯ টাকা, চীন ১১৮ টাকা, আরব আমিরাত ১২২.৮০ টাকা ও হংকং এ ২৬০ টাকা। আমেরিকা ইউরোপেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানী তেল। '

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বাড়ানো হয়। এতে বলা হয়, শনিবার (৬ আগস্ট) ডিজেলের দাম হবে ১১৪ টাকা লিটার, যা এত দিন ৮০ টাকা ছিল। এ ক্ষেত্রে দাম বাড়ানো হয়েছে ৩৪ টাকা। কেরোসিনের দামও একই হারে বাড়ানো হয়েছে। নতুন দর ডিজেলের সমান, অর্থাৎ ১১৪ টাকা লিটার। সাধারণত, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম সমান হয়। রাত ১২টার পর থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হচ্ছে বলেও জানানো হয়।

 

news24bd.tv/FA