খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলের ১৪ জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ

সংগৃহীত ছবি

খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলের ১৪ জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ও পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে খুলনা বিভাগ ও ফরিদপুর অঞ্চলের ১৪ জেলার তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সমস্যা সমাধানে ট্যাংক লরি মালিক সমিতি ও জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বিকেল চারটার পরে খুলনা জেলা প্রশাসক বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।  

এদিকে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে সারাদেশে বর্ধিত ভাড়ায় চলছে গণপরিবহন। ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাসগুলোতে ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকার অভ্যন্তরে চলাচালকারী বাসগুলোতেও ভাড়া বৃদ্ধির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রামপুরা-এয়ারপোর্ট সড়কে চলা রাইদা বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০টাকার বদলে আদায় করা হয় ২০ টাকা হারে। অন্যান্য বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ছিলো ১৫টাকা।  

সকাল থেকে ময়মনসিংহে বর্ধিত ভাড়ায় চলছে গণপরিবহন।

ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কে চলাচলকারী বাসগুলো নির্ধারিত ভাড়া থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেশি আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । ভাড়া বৃদ্ধিতে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বাধ্য হয়ে বর্ধিত ভাড়ায় যাতায়াত করছেন তারা।  পরিবহন শ্রমিকরাও জ্বালানির দাম বাড়ানোর এই হারকে অস্বাভাবিক বলছেন ।

নোয়াখালীতে দূরপাল্লার বাসগুলো কোন ঘোষণা ছাড়া ভাড়াবৃদ্ধি করায় যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।  জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে একইভাবে অভ্যন্তরীণ রুটের বাসগুলোতেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার সব পরিবহনের বাসেই আগের ভাড়ার চেয়ে ৫০-১০০ টাকা করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

ঢাকাগামী যাত্রী লেবু মিয়া ও বাহার ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সরকার কোনো কথাবার্তা ছাড়াই হুট করে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৫০ ভাগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন পরিবহন কোম্পানিও কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। মাঝখানে আমরা সাধারণ জনগণ বাড়তি খরচ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। ’

অন্যদিকে সিএনজি ভাড়া বৃদ্ধির পর টানা দুইদিন ধরে চলা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন চালক সমিতির নেতারা। রবিবার রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান সিএনজি (অটোরিক্সা) চালক ও স্থানীয়দের সাথে আলোচনা করে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন।  এলাকা ভেদে পূর্বের ভাড়া যেখানে ৮টাকা ছিল সেখানে ১০টাকা। যেখানে ১২টাকা ছিল সেখানে ১৫ টাকা আর যেখানে ২৪টাকা ছিল সেখানে ৩০টাকা ভাড়া কার্যকর করা হয়।  

news24bd.tv/আজিজ