সাত মাসে নির্যাতনের শিকার ১১৯ সাংবাদিক

প্রতীকী ছবি

সাত মাসে নির্যাতনের শিকার ১১৯ সাংবাদিক

অনলাইন ডেস্ক

বছরের প্রথম সাত মাসে অর্থ্যাৎ জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ১১৯ সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ৩৮ জন ও প্রকাশিত সংবাদের জেরে ১৯ জন মামলার শিকার হয়েছেন। অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের ওপর এসব হামলা হয়। এসব তথ্য জানিয়েছে আইন ও শালিস কেন্দ্র।

এ দিকে ধারাবাহিক এসব হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

টিআইবি জানায়, এসব ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বাস্তব অর্থে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিচার শেষ হয় না।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যখন দেশের মানুষ প্রভাবশালী ও ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজদের অর্থপাচার এবং নানাবিধ দুর্নীতির কারণে বহুমুখী সঙ্কট মোকাবিলা করছে।

তখন দুর্নীতির তথ্য উদঘাটন ও প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের ওপর ধারাবাহিক হামলা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। সাংবাদিকদের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনায় স্পষ্ট যে, দুর্নীতিবাজরা কতটা বেপরোয়া, ক্ষমতাধর এবং সংঘবদ্ধ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তো বটেই, রাষ্ট্রীয় কোনো কর্তৃপক্ষকেই তারা পরোয়া করে না। এই বেপরোয়া আচরণ প্রমাণ করে, কোনো না কোনো প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় তারা সুরক্ষা ও দায়মুক্তি পেয়ে থাকে। ’ 

তিনি আরও বলেন, ‘নিয়মিত বিরতিতে সাংবাদিক নির্যাতন এবং গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে হামলা-মামলার হলেও কঠোর আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে যথোপযুক্ত শাস্তির দৃষ্টান্ত কার্যত অনুপস্থিত, যা নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছি।

‘সম্প্রতি স্বাস্থ্যখাতে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহকালে ঢাকা ও বরিশালে অন্তত তিনজন টেলিভিশন সাংবাদিকের ওপর সংঘবদ্ধ ভয়াবহ হামলা এ খাতে শক্তিশালী সিন্ডিকেট এবং তাদের সুরক্ষাদাতাদের বেপরোয়া দৌরাত্মের প্রমাণ দেয়, যা টিআইবির বিভিন্ন গবেষণা এবং গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। ’

সাংবাদিকদের মনোবল ভেঙে দিয়ে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশে বাধা সৃষ্টির জন্য ধারাবাহিক হামলা কি না প্রশ্ন রেখে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, বিশ্ব দায়মুক্তি সূচক-২০২১ অনুযায়ী সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশের দশম অবস্থান লজ্জাজনক। বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম সূচক ২০২২ অনুযায়ী ১০ ধাপ পিছিয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ১৬২তম অবস্থানও প্রমাণ করে যে, সাংবাদিকতা এদেশে ধারাবাহিকভাবেই কঠিন হয়ে উঠছে। তাই সাংবাদিকদের সুরক্ষায় অবিলম্বে বিশেষ আইন প্রণয়ন এবং তার কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

news24bd.tv/মামুন