টাকা ফেরতের দাবিতে অভিযুক্তের বাড়িতে লাশ নিয়ে অনশন

সংগৃহীত ছবি

টাকা ফেরতের দাবিতে অভিযুক্তের বাড়িতে লাশ নিয়ে অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে দবিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন প্রধানপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি জুলফিকার আলম। চাকরি দিতে না পারায় টাকা ফেরত চাইলে টাকা না দিয়ে তাদের হয়রানি ও লাঞ্ছিত করেন জুলফিকার।  সেদিনই ষ্ট্রোক করেন দবিরুল এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দবিরুলের লাশ অভিযুক্ত জুলফিকারের বাড়িতে রেখে অনশন শুরু করেন।

স্বজনদের অভিযোগ, টাকা দিয়েও ছেলেকে চাকরি দিতে না পারা এবং টাকা ফেরত না পাওয়ার দুশ্চিন্তা থেকেই ষ্ট্রোক করেন দবিরুল। টাকা না দেয়া পর্যন্ত লাশ দাফন করা হবে না বলে জানান তারা।  

জানা গেছে, দুই বছর আগে প্রধানপাড়া দাখিল মাদ্রাসার তৎকালীন সভাপতি জুলফিকার আলম প্রধান মাদরাসার লাইব্রেরিয়ান পদে জাকিরুল ইসলামকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার পিতা দবিরুল ইসলাম প্রধানের (৫৫) কাছে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা নেন। দুই মাস আগে জুলফিকারের সভাপতির সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে টাকা ফেরত চান দবিরুল।

 টাকা না দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও কালক্ষেপন করে আসছিলেন অভিযুক্ত।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, ২০-২৫ দিন আগে দবিরুল ইসলামের পরিবার জুলফিকারের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে টাকা না দিয়ে উল্টো তাদের লাঞ্ছিত করেন এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারতে উদ্ধত হন। এ ঘটনা সইতে না পেরে বাড়ি এসেই স্ট্রোক করেন দবিরুল। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান দবিরুল। পরে এলাকাবাসী দবিরুলের লাশ অভিযুক্ত জুলফিকারের বাড়িতে রেখে অনশন শুরু করেন।

দবিরুলের ছেলে জাকিরুল ইসলাম জানান, চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে জুলফিকার ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছে। আমার বাবা জায়গাজমি, গরু-ছাগল বিক্রি করে জুলফিকারকে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু সে আমার চাকরিও দেয়নি টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। উল্টো বাবাকে লাঞ্ছিত করেছে।

নিহতের স্বজনরা অভিযুক্ত জুলফিকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

এ ঘটনা জুলফিকার আলমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

news24bd.tv/আজিজ