জ্বালানি নিয়ে বিক্ষোভে সহিংসতার ভিডিওটি ভুয়া!   

সংগৃহীত ছবি

রয়টার্সের ফ্যাক্ট চেক

জ্বালানি নিয়ে বিক্ষোভে সহিংসতার ভিডিওটি ভুয়া!   

অনলাইন ডেস্ক

জ্বালানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে, এমন একটি ভিডিও ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দাবি করা হয়, এটি চলতি মাসের (আগস্ট) ঘটনা। ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় জিনিসপত্র পোড়ানো হচ্ছে, ছোড়া হচ্ছে বিস্ফোরক। কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে পুলিশও।

ভিডিওটি আসলে ২০১৩ সালের মে মাসের ৬ তারিখের। ধর্ম অবমাননার কোনো ঘটনায় সেদিন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিক্ষুব্ধরা। তবে সামাজিক গণমাধ্যমে চালানো দেশবিরোধী মিথ্যা অপপ্রচারের ভিডিওটি ধরা পড়েছে বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের ফ্যাক্ট চেক বা সত্যতা নিরূপণ প্রক্রিয়ায়।  রয়টার্সের ওই রিপোর্টের বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

রয়টার্সের ফ্যাক্টচেক টিম বলছে, ভুল ক্যাপশনে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ আগস্ট ‘ওয়াল স্ট্রিট সিলভার’ নামের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দেওয়া হয় যে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে বিভিন্ন শহরে তীব্র গোলযোগ হচ্ছে। এর সঙ্গে আপলোড করা হয় রাস্তায় টায়ার পোড়ানো ও মুহুর্মুহু সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দের একটি অডিও-ভিডিও ক্লিপ। হাজার ছাড়িয়ে যাওয়া ভিউয়ের পোস্টটির সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে রয়টার্স দেখে, ভিডিও ক্লিপটি ৯ বছর আগের, ২০১৩ সালের ৬ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময়ের।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রয়টার্স প্রকাশিত ‘ফ্যাক্ট চেক: বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদের ভিডিওটি ২০২২ সালেরই নয়, ২০১৩ সালের’ (Fact Check-Video does not show 2022 fuel protests in Bangladesh, it dates to 2013) শিরোনামের সংবাদে বলা হয়, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের মধ্যে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশে সম্প্রতি লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম ৫১.২ শতাংশ বাড়িয়ে ১৩০ টাকা, অকটেনের দাম ৫১.৭ শতাংশ বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২.৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়েছে।

রয়টার্স-থম্পসনের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাংলাদেশে যে প্রতিবাদ হয়েছে, তা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। কিন্তু বর্ণিত টুইটার ও চিহ্নিত আরেকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে যে ভিডিও সংযোজন করা হয়েছে তা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তো নয়ই, এ বছরেরও নয়, ২০১৩ সালের।  
news24bd.tv/আলী