১৯৩৫ সালের পর খরার আশঙ্কা ব্রিটেনে

টেমস নদীর উৎসমুখ অনেকটাই শুকিয়ে গেছে। ছবি: সংগৃহীত

১৯৩৫ সালের পর খরার আশঙ্কা ব্রিটেনে

অনলাইন ডেস্ক

ব্রিটেনের নদীগুলোর উৎসমুখে পানি শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। কিছু কিছু নদীর উৎসমুখ এরই মধ্যে শুকিয়ে ছোট নালায় পরিণত হয়েছে। এরই ফলাফল হিসেবে দেশটিতে খরার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পানিসংকটের কারণে নাগরিকদের পানির ব্যবহার কামানোর নির্দেশ দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার।

 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ব্রিটেনের অন্যতম প্রধান নদী টেমসের উৎসমুখ এরই মধ্যে অনেকটা শুকিয়ে গেছে, যার ফলে নদীটির অববাহিকায় অবস্থিত অঞ্চলগুলোতে খরা দেখা দিতে পারে। এখনো নির্দিষ্টভাবে কিছু না জানালেও ব্রিটিশ আবহাওয়া বিভাগ বলছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বেশ কিছু এলাকায় খরার সতর্কতা জারি করা হবে। ১৯৩৫ সালের পর দেশটিতে এই প্রথম কোনো খরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

ব্রিটেনের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সাধারণত প্রতিবছর জুলাইয়ে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, গত জুলাইয়ে সেই গড় বৃষ্টিপাতের মাত্র ৩৫ শতাংশ হয়েছে।

জুলাই মাসে ব্রিটেনজুড়ে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র ২৩ দশমিক ১ মিলিমিটার। আর এই স্বল্প বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়েছে নদীগুলোর ওপর। নদীর উৎসমুখগুলো শুকিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পানির প্রবাহও কমে গেছে।

ব্রিটেনের ইয়র্কশায়ার জেলায় পানি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ইয়র্কশায়ার ওয়াটার্সের পরিচালক নেইল ডেভিস বলেছেন, ‘তীব্র গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার মানে হলো ইয়র্কশায়ারের নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে এবং সংরক্ষিত জলাধারগুলোও ২০ শতাংশ শুকিয়ে গেছে। আমরা যা আশঙ্কা করেছিলাম তার চেয়ে বেশি বিপদে আছি। ’ 

ইয়র্কশায়ার ওয়াটার ব্রিটেনের উত্তরাঞ্চলের ২৩ লাখ বাড়ি এবং ১ লাখ ৩০ হাজার ব্যবসায়ী গ্রাহককে পানি সরবরাহ করে থাকে। এই পানির অন্যতম উৎস হলো ওই অঞ্চলের নদীগুলো। তবে নদীগুলো পানির সংকটে ভুগতে থাকায় এই সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

news24bd.tv/আলী