আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা পুনর্দখলের বর্ষপূর্তি আজ

সংগৃহীত ছবি

আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা পুনর্দখলের বর্ষপূর্তি আজ

মাসুদ রানা

আফগানিস্তানে তালেবানের  ক্ষমতা পুনর্দখলের এক বছর আজ। শুরুতে তালেবান ব্যাপক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরেও সেসব প্রতিশ্রুতির অধিকাংশই অধরা। দুর্দশা, রোগ-শোক-জরা যেন গোটা আফগানিস্তানকে চেপে ধরেছে। দেশটিতে নাজুক অর্থনীতির কারণে কমেছে জীবনযাত্রার মান।

সেইসাথে নারীদের ওপর নেমে এসেছে নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল।

পশ্চিমাদের দুই দশকের দখলদারিত্বের পর গত বছরের ১৫ আগস্ট কাবুল পুনর্দখল করে তালেবান। একই মাসের ৩০ তারিখ আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণের পরই নব্বইয়ের দশকের তাদের কঠোর নীতি থেকে বেরিয়ে মধ্যপন্থার নীতি নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

যা দেখে অবাক হয়েছিল বিশ্ব।

ক্ষমতায় ফিরে তালেবানের মূল অঙ্গীকার ছিল নারীর অধিকার। তবে ১ বছরে দেশটির নারীদের জীবনে মৌলিক কোনো পরিবর্তন আসেনি। বরং সব দিক থেকে হয়েছে নিষ্পেষিত। আরও সীমিত হয়েছে অধিকার ও স্বাধীনতা। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কর্মক্ষেত্র থেকে সরিয়ে দেওয়া ও বোরকা পরতে বাধ্য করার মতো কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে তালেবান প্রশাসন।

দেশটির এক বাসিন্দা জানান, গত ১ বছরে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে তবে সেটি অন্ধকার। নারী অধিকার কমেছে, বাল্য বিবাহ বেড়েছে, শিক্ষার অধিকার নেই, দেখবেন আরো পরিবর্তন ঘটবে অল্পদিনেই আমরা ৯০ দশক ছাড়িয়ে যাবো।

তিনি জানান, আগে আমরা স্বাধীন ছিলাম। কিন্তু এখন, সবকিছুর বেড়াজালে বন্দি আমরা। বিশ্ব জানে তালেবানরা কি করছে। ২০ বছর পর ক্ষমতায় ফিরে তালেবান যেসব সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার ষোল আনায় যেন ফাঁকি।

আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ থাকায় এক বছরে দেশটিতে মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। খাদ্যাভাবের পাশাপাশি শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ জনগণের মৌলিক চাহিদার মতো বিষয়গুলোর কোনো দিকেই নজর দেয়নি তালেবান সরকার।

news24bd.tv/রিমু