বিচার চাইলেন গার্ডার ধসে বেঁচে ফেরা হৃদয়

সংগৃহীত ছবি

বিচার চাইলেন গার্ডার ধসে বেঁচে ফেরা হৃদয়

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে গাজীপুরের সড়ক যোগাযোগ আধুনিক, দ্রুত এবং আরামদায়ক করতে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত চলছে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) নির্মাণকাজ। সোমবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেট কারে বিআরটি নির্মাণাধীন উড়ালসড়কের গার্ডারচাপায় পাঁচজন নিহত হন। বেঁচে যান কেবল গাড়িতে থাকা নবদম্পতি রিয়া আক্তার ও রেজাউল করিম হৃদয়।

সোমবারের এ দুর্ঘটনার পর থেকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন রিয়া-হৃদয় দম্পতি।

মঙ্গলবার স্বজনদের লাশ হস্তান্তরের কথা জানতে পেরে হাসপাতাল থেকে ছুটে আসেন তারা। বাবা মাকে শেষ দেখা দেখতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এ নবদম্পতি।

হৃদয় বলেন, ‘সরকার কোথায় প্রশাসন কোথায়? এত ব্যস্ততম একটা রাস্তায় এভাবে তারা কাজ করছে, কোনো নিরাপত্তা নাই। আজকে আমার গাড়ির ওপর পড়েছে, অন্যকারও গাড়ির ওপরেও পড়তে পারতো।

এই দায়ভার কে নিবে। সরকার ও প্রশাসনের কাছে  আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ’

মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। আমি ও আমার স্ত্রী অসুস্থ। আমরা হাসপাতালে ছিলাম। আমারা হাঁটাচলা করতে এখনও সমস্যা হচ্ছে। মামলা আমাদের আত্মীয়স্বজনরা দেখছেন। ’

নিজেদের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে হৃদয় বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরেই আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমি পায়ে ও কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছি। রিয়া আমার থেকে কম ব্যথা পেলেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। দুর্ঘটনায় ওর মা মারা গেছে। আমরা এখনো অসুস্থ। লাশ মর্গ থেকে বের করা হবে সেজন্য এখানে এসেছি। ’

স্বজনদের দাফনের বিষয়ে হৃদয় বলেন, ‘বাবাকে আমাদের গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরে দাফন করা হবে। আর আমার শাশুড়িকে আমার মামা শ্বশুররা নিয়ে যাবেন জামালপুর। সেখানে তাকে দাফন করা হবে। ’

গত শনিবার রিয়া ও রেজাউলের বিয়ে হয়। গতকাল কাওলায় হৃদয়ের বাসায় বউভাতের অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে তারা সাভারের আশুলিয়ার খেজুরবাগানে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন।

news24bd.tv/মামুন