ভারতের ঘোরতর আপত্তি থাকা স্বত্বেও শ্রীলংকার হাম্বানটোটা বন্দরে চীনের একটি গবেষণা জাহাজকে নোঙর করতে দিয়েছে দেশটির সরকার। এ নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্কের। খবর বিবিসির।
বন্দর কর্মকর্তাদের বরাতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউয়ান ওয়াং ফাইভ নামের জাহাজটিকে বন্দরে ভেড়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে এই শর্তে যে এটি শ্রীলঙ্কার জলসীমায় কোন গবেষণা চালাবে না।
তবে ভারত এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিল যে চীনা জাহাজ থেকে ভারতীয় কার্যকলাপের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালানো হবে।এ বিষয়ে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি ছিল, জাহাজটিকে ২২শে অগাস্ট পর্যন্ত চীন-পরিচালিত ঐ বন্দরে থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে বিদেশি গণমাধ্যমগুলোর দাবি, ইউয়ান ওয়াং ফাইভকে চীনের সর্বাধুনিক স্পেস-ট্র্যাকিং জাহাজগুলির একটি হিসাবে বর্ণনা করা হয়। কারণ, এই জাহাজ থেকে স্যাটেলাইট, রকেট এবং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করা খুবই সহজ।
কিন্তু ভারতের উদ্বেগের কারণ হল এখান থেকে খুব সহজেই ভারতের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে পারবে চীন। ভারতীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে জাহাজটিকে "দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য গুপ্তচর জাহাজ" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যেখানে শিপিং নিয়ে বিশ্লেষণ করা ওয়েবসাইটগুলিতে বলা হচ্ছে, এটি একটি গবেষণা এবং জরিপ কাজ চালানোর জাহাজ।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার পথে চীনা জাহাজের ট্র্যাকিং সিস্টেমগুলি ভারতীয় স্থাপনাগুলোর ওপর নজরদারি চালাতে পারে। আর সেই সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন দিল্লি। তবে এই অভিযোগগুলোকে বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে চীন।
news24bd.tv/FA