কয়েক বছরের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের পর ফের পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল ও তুরস্ক। দুই দেশই তাদের রাষ্ট্রদূতদের একে অপরের দেশে কর্মস্থলে পাঠাতে সম্মত হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
বুধবার (১৭ আগস্ট) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিডের সঙ্গে কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
পরে ইয়ার ল্যাপিডের দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্পর্কের উন্নতি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করা, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে আরও জোরালো করতে অবদান রাখবে। ’আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে একটি পদক্ষেপ ছিল রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া। ইসরায়েলের তরফে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তুরস্ক ও তেল আবিবে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত মে মাসে প্রথমবারের মতো ইসরায়েল সফর করেন কাভুসোগলু। ১৫ বছরের মধ্যে কোনো তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই ছিল প্রথম সফর। ওই সময় তিনি দখলকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিন নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এ সফরের দুই মাস পরেই ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ আঙ্কারা যান।
২০১৮ সালে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস চালুর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ফিলিস্তিনিরা। ওই সময়ে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভরত ৬০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আঙ্কারা। এক পর্যায়ে দুই দেশ পরস্পরের রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
news24bd.tv/মামুন