ঝুঁকি নিয়ে চলছে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ

ঝুঁকি নিয়ে চলছে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ

অনলাইন ডেস্ক

সড়কের দুদিকে গাড়ির সারি। মাঝখানে চলছে কাজ। বলছি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা-লালখানবাজার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কথা। যেখানে ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বরে বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে প্রাণ যায় ১৩ জন পথচারীর।

আহত হয় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা আরও অর্ধশত মানুষ। এমন ঘটনা এখনো কাঁদায় চট্টগ্রামের মানুষকে।

একইভাবে ঢাকার উত্তরায়ও ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে প্রাণহানির ঘটনায় আতঙ্ক বেড়েছে পতেঙ্গা লালখানবাজার সড়ক ব্যবহারকারীদের।

পথচারীরা জানান, নির্মাণ কাজ এলাকা দিয়ে তাদের অনেক ভয় হয়।

তবে উপায় না পেয়ে চলছে তারা।

এক পথচারী বলেন, ‘প্রতিটা মুহূর্তে আমরা ভয়ে থাকি। কারণ কখন এটা পরে যায়। আমরা রিস্কের মধ্যে থাকি। তারপরও কাজে যেতে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছি। ’

আরেক পথচারী বলেন, ‘কাজের জন্য প্রতিদিন নির্মাণাধীন এক্সপ্রেসওয়ের নিচ দিয়ে যেতে হচ্ছে। রিস্ক নিয়ে যেতে হচ্ছে কিছু করার নাই। ’

স্থানীয় এক চালক বলেন, ‘ভয় তো হয়। কোনদিন ভেঙে পড়ে আল্লাহই জানে। ’

আরেক ট্রাক চালক বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ের কাজের মধ্যে আমরা যাবো কি না তা নিয়ে অনেক সময় দ্বিধায় থাকি। তারপরেও আমাদের যেতে হয়। ’

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, রাতের চেয়ে দিনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বেশি চলায় থেকে যাচ্ছে ঝুঁকি। পাশেই  ইপিজেড, বন্দর–কাস্টমস থাকায় কর্মজীবী ও ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা লেগেই থাকে এ সড়কে।  

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘রাস্তার মাঝখানে কাজ চলায় দুর্ঘটনার প্রবণতা থেকেই যায়। আমার মনে রাতের বেলা সড়ক বন্ধ করে দিয়ে কাজ করলে দুর্ঘটনার প্রবণতা কমবে। ’ 

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিডিএ বলছে, পতেঙ্গা থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উড়ালসেতুর নির্মাণকাজ চলছে সতর্কতার সঙ্গে। অর্ধেক অংশের কাজ শেষ হয়েছে।  

সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘কাজের সময় যাতে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা গার্ডারগুলো একটি ভিন্ন জায়গায় তৈরি করি। রাত ১২টার পর আমরা গার্ডারগুলো বসায়। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করছি। ’

সড়ক ব্যবহারকারী পরিবহন চালক ও পথচারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সিডিএর এই কর্মকর্তা।

২০১৭ সালের জুলাই মাসে একনেক সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প অনুমোদন পায়। বিভিন্ন জটিলতা কাটিয়ে ২০১৯ সালে নির্মাণ কাজ শুরু করে সিডিএ। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বরে এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১০ কিলোমিটার খুলে দেয়া হবে যান চলাচলের জন্য।

news24bd.tv/মামুন