১০.১ শতাংশে পৌঁছেছে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি

সংগৃহীত ছবি

১০.১ শতাংশে পৌঁছেছে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের মানুষের জীবনমান, আয় ও অর্থনীতির ওপর করোনা মহামারির প্রভাব ছিল আগে থেকেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ। আর এতেই বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্যের গোটা অর্থনীতি।

রেকর্ড ১০ দশমিক এক শতাংশে পৌঁছেছে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি; যা সবশেষ ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

 বিশেষজ্ঞদের আভাসের থেকেও এগিয়ে রয়েছে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি।

গত জুনে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক চার শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলেছিল, জুলাইয়ে মুদ্রাস্ফীতি ৯ দশমিক আটে পৌঁছাবে। তবে সেই পূর্ভাবাসকে পেছনে ফেলে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছে ১৯৮২ সালের রেকর্ড ভেঙেছে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি।

এ দিকে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় দেশটিতে হু হু করে দাম বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের। এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল।

দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো ওএনএসর বরাতে সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, সবশেষ ১২ মাসে যুক্তরাজ্যে কম ফ্যাটের দুধের দাম বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। এতে পিছিয়ে নেই দুগ্ধজাতীয় অন্য পণ্যগুলোও। সাধারণ দুধের দাম বেড়েছে ২৮ দশমিক এক শতাংশ। অন্যদিকে মাখন ও চিজের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ২৭ দশমিক এক শতাংশ এবং ১৭ শতাংশ।

অলিভ ওয়েলের দাম বেড়েছে ২৩ দশমিক ছয় শতাংশ। জ্যাম ও মধুর দাম বেড়েছে ২১ দশমিক দুই শতাংশ। আর ডিমে বেড়েছে ১৪ দশমিক ছয় শতাংশ।

হিমায়িত শাকসবজি ১৬ দশমিক ছয়, পোল্ট্রি ১৬ দশমিক এক ও মাছের দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

এ দিকে জ্বালানি গ্যাসের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ৯৫ দশমিক সাত শতাংশ। ইলেকট্রিসিটির দাম বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। অন্যান্য জ্বালানির দাম বেড়েছে ৪৩ দশমিক সাত শতাংশ।

ওএনএসর প্রধান অর্থনীতিবিদ গ্রান্ট ফির্টজার বলেন, ‘চাহিদা বাড়ায় সব জিনিসেরই দাম বাড়ছে। এতে করে মুদ্রাস্ফীতিও বেড়ে যাচ্ছে। সামনের দিকে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়তে পারে। ’

ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি বছরের শেষের দিকে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ১৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

news24bd.tv/মামুন