দাম বাড়ায় হোটেলে কমেছে ডিম বিক্রি

সংগৃহীত ছবি

দাম বাড়ায় হোটেলে কমেছে ডিম বিক্রি

অনলাইন ডেস্ক

চাল, ডাল, ডিমসহ নিত্যপণ্যের বাজার বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী। আজ বৃহস্পতিবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি হালি ডিম পাইকারিভাবে ৪১ থেকে ৪২ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৪৪-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা দুদিন আগেও খুচরা বাজারে ৪৮-৫০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছিল। দেশের বাজারে ডিমের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।

হোটেলে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। এতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ভোক্তারা। ফলে বিক্রি কমেছে দোকানদারদের।

এ বিষয়ে এক হোটেল ব্যবসায়ী জানান, আগে প্রতিদিন তার হোটেলে ৩০-৪০ পিস ডিম বিক্রি হতো।

এখন ১০ পিসও ডিম বিক্রি করতে পারেন না। দাম বাড়ার কারণে প্রতিটি ডিম ২৫ টাকায় বিক্রি করছেন।

এদিকে খামারিরা বলছেন, পোলট্রি খাদ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে ডিমের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা ডিম কেনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

সিটি বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা জাদু মিয়া বলেন, দাম বৃদ্ধির কারণে বিক্রি কমেছে। আগে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার পিস ডিম বিক্রি হলেও এখন ৩ থেকে ৪ হাজার পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে। এতে দোকান ভাড়াসহ আনুষাঙ্গিক ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

রংপুর সিটি বাজারের খান ট্রেডার্সের মালিক জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, পোলট্রি মুরগির খাবারের অন্যতম উপাদান ভুট্টা প্রতিকেজি সর্বোচ্চ ১৮ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হতো। এখন সেটা দাম বেড়ে ৩৫-৩৬ টাকা হয়েছে। এছাড়া সয়াবিন খৈল ছিল ৩২-৩৩ টাকা। এখন সেটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি।

তিনি বলেন, প্রতি ১০০ কেজি খাবারের মধ্যে ৬০ কেজি সয়াবিন খৈল এবং ২০ কেজি ভুট্টা থাকে। এতে প্রতিটি ডিম উৎপাদনে এখন খরচ হচ্ছে ৯ থেকে সাড়ে ৯ টাকা। যা আগে খরচ হতো ৬ থেকে সাড়ে ৬ টাকা। ডিমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

news24bd.tv রিমু