১২ কেজি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা

প্রতীকী ছবি

১২ কেজি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীতে ১২ কেজি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ২৮০ টাকা বেশি। বিভিন্ন দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গছে।

সরকার প্রতি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে দেয়।

২ আগস্ট চলতি মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ১২ কেজির সিলিন্ডারের এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ২১৯ টাকা। গত মাসে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ২৫৪ টাকা।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার গ্রাহক ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১২ কেজির প্রতিটি সিলিন্ডার সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৫০ থেকে ২৮০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

ব্র্যান্ডভেদে সিলিন্ডারের দাম কম-বেশি হচ্ছে।  

রাজধানীর এলপিজি ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বলেন, ‘ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। কোম্পানির কাছ থেকে ডিলারদের সিলিন্ডার নিতে হচ্ছে বেশি দামে। ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতিদিনই দাম নিয়ে হট্টগোল হচ্ছে। ’

বিক্রেতা মো. ফয়সাল বলেন, ‘বাসাবাড়িতে সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত ৫০ টাকা বেশি নেওয়া হয়। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। গ্যাস–সংকটের কথা বলে কোম্পানিই বেশি দাম রাখছে। ডিজেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচও বেড়ে গেছে। ’

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এম শামসুল আলম বলেন, এলপিজি সরবরাহ করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের দাম মানতে বাধ্য। দাম না মানলে তা ফৌজদারি আদালতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয় । প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের তেল কোম্পানি আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এ সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গত বছরের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে এই সংস্থা। এর পর থেকে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

এলপিজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, সরকার নির্ধারিত দামে এলপিজি বিক্রি করতে না পারার পেছনে বেশ কিছু যৌক্তিক কারণ রয়েছে। বিইআরসি এলপিজির দাম নির্ধারণে ঋণপত্র নিষ্পত্তিতে (এলসি সেটেলমেন্ট) ডলারের দাম ধরেছে ৯৮ টাকা। বাস্তবে এলসিতে ডলারে দাম পড়ছে ১০৮ টাকার বেশি। বিইআরসি পরিবহন খরচে ডিজেলের দাম ধরছে ৬৫ টাকা লিটার। বাস্তবে ডিজেলের দাম এখন ১১৪ টাকা লিটার। এ ছাড়া বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করে এলপিজির দাম যৌক্তিকভাবে নির্ধারণে বিইআরসিকে চিঠি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।