একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি :

শরীয়তপুরে একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা হলেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি ‍পুলিশ। এতে আতঙ্কে রয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।  পুলিশ বলছে, আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

জানা যায়, শরীয়তপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ শেখ এবং তাঁর লোকজন দীর্ঘ  দিন ধরে প্রতিবেশী শাহাবুদ্দিন শেখের সম্পত্তি ভোগ দখলের পায়তারা করছেন।

দখল নিতে শাহাবুদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখানোসহ একাধিকবার হামলাও চালান কাউন্সিলর ফরিদ। এ ঘটনায় ফরিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শাহাবুদ্দিন। এতে ফরিদ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

মামলার জেরে গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) শাহাবুদ্দিন শেখ ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর আবারও হামলা চালান ফরিদ শেখ ও তার লোকজন।

এ সময় শাহাবুদ্দিন শেখ, প্রতিবন্ধী মেয়ে তাহমিনা আক্তার, লিমা আক্তার, ছেলে তালহা শেখ ও স্ত্রী হাজেরা বেগমকে ধারালো লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা।  

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। তাহমিনার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।  

এ ঘটনার দুইদিন পর (গত ২০ আগস্ট) শাহাবুদ্দিন শেখ বাদী হয়ে ফরিদ শেখসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় মামলা করেন।  

মামলর আসামিরা হলেন ফরিদ শেখ, আবুল হাসেম শেখ, আবুল হাসেম শেখের ছেলে খবির শেখ, জাকির শেখ, রবিন শেখ ও খালেক শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার।  

শাহাবুদ্দিন শেখ বলেন, ফরিদ শেখ আমাদের উচ্ছেদ করে সম্পত্তি দখল নিতে একাধিক বার হামলা চালিয়েছে। আগের ঘটনায় মামলা করলে তিনি আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে এবং মামলা তুলে না নিলে তিনি আমাদের হত্যার হুমকি দেনি। মামলা তুলে না নেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার ফরিদ শেখ লোকজন নিয়ে আবারও হামলা চালান। এ ঘটনায় আমরা থানায় মামলা করেছি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ’ 

ফরিদ শেখ ও অন্যান্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, 'আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে। ’

news24bd.tv/হারুন