সুন্দরবন থেকে রাতে উদ্ধার করা হয়েছে দুই মণ হরিণের মাংস। কিন্তু সকালে হয়ে গেলো মাত্র সাত কেজি। এমনকি হরিণের মাংস উদ্ধারের কোন ছবিও তুলে রাখতে পারেনি সুন্দরবন বিভাগ।
হরিণের মাংস উদ্ধার নিয়ে শরণখোলার বনরক্ষীদের এমন লুকোচুরিতে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযানকালে বনরক্ষীদের সাথে থাকা কমিউনিটি প্রেট্রোলিং গ্রুপ (সিপিজি) এর কয়েকজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হরিণ শিকারের গোপন সংবাদ পেয়ে তারা বনবিভাগের ভোলা টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের জানান। এরপর রাতে ওই টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের সাথে নিয়ে তারা অভিযানে যান। অভিযানকালে বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে শিকারিরা পালিয়ে যায়। এসময় শিকারিদের ব্যবহৃত ডিঙি নৌকা তল্লাশি করে প্রায় দুই মণ হরিণের মাংস ও দুই মণ বিষ দিয়ে ধরা চিংড়ি মাছসহ এক বোতল রিপকড কীটনাশক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা অধিকাংশ মাংস ও চিংড়ি ওই রাতেই ঘটনাস্থলের বনে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৫-৭ কেজি মাংস ও ১৫-২০ কেজি চিংড়ি শরণখোলা ষ্টেশনে নিয়ে মাটিচাপা দেয় বনরক্ষীরা। তবে এসব বিষয়ে তাদের মুখ খুলতে নিষেধ করেছে বন কর্মকর্তারা।
শরণখোলা সুন্দরবন সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম আকন বলেন, বনরক্ষীদের হরিণের মাংস উদ্ধার নিয়ে লুকোচুরি কর্মক্ষেত্রে অস্বচ্ছতার সামিল। বনবিভাগের এসব বিষয়ে আরও স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালনের দাবি জানান তিনি।
শরণখোলা ষ্টেশন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান আসাদ দুই মণ হরিণের মাংস উদ্ধারের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, রাতে ৫ থেকে ৭ কেজি হরিণের মাংস ও ২০ কেজি চিংড়ি মাছসহ একটি ডিঙি নৌকা জব্দ করে মামলা দেয়া হয়েছে। বিগত সময় হরিণের মাংস উদ্ধারের ছবি তোলা হলেও এ ঘটনার কোন ছবিও তুলতে পারেনি বলে তিনি জানান।
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কে কী বলল সেটা বিষয় নয়, বন বিভাগ যেটি বলবে সেটি হচ্ছে রেকর্ড। উদ্ধার করা সাত কেজি হরিণের মাংস ও ২০ কেজি চিংড়ি রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বনে কেরোসিন দিয়ে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।
news24bd.tv/FA