নৃগোষ্ঠীর ১২ ভাষায় বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতাপাঠ ও আবৃত্তি 

নৃগোষ্ঠীর ১২ ভাষায় বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতাপাঠ ও আবৃত্তি 

অনলাইন ডেস্ক

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষার কবিতায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক কবিতাপাঠ, আবৃত্তি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি আয়োজিত অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর নিজের দুটি কবিতা পাঠ করেন।

বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকার সুজন হাজংয়ের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।

সচিব আবুল মনসুর বলেন, একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে ও পরবর্তী পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করেছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর হাজং, গারো ও অন্যান্য জাতিসত্তার সদস্যরা। আজকে তাদের নিজস্ব ভাষার কবিতায় বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা নিবেদনই প্রমাণ করে আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শোকের মাসে এরকম একটি আয়োজনে যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, ভারতের বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী ও অভিনেতা সতীনাথ মুখোপাধ্যায়।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ১২টি ভাষায় বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন কবি মৃত্তিকা চাকমা, মণিপুরী ভাষার কবি একে শেরাম, কবি বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, গারো ভাষার কবি মতেন্দ্র মানখিন, কবি থিওফেল নকরেক, সাঁওতাল ভাষার কবি সুবোধ এম বাস্কে, কবি রিপ্রুচাই মারমা, কবি যুগলকিশোর কোচ, কুডুখ ভাষায় কবি স্বপন এক্কা, কবি সোহেল হাজং, কবি রিপন বানাই এবং সাদ্রী ভাষায় কবি সনজিৎ কুমার সিংহ।

মালা মার্থা আরেং-এর সঞ্চালনায় এ সময় কবি নির্মলেন্দু গুণের বিখ্যাত ‘আজ আমি কারো রক্ত চাইতে আসিনি’ কবিতাটি চাকমা ভাষায় আবৃত্তি করেন আনন্দ জ্যোতি চাকমা ও ইংরেজি ভাষায় আবৃত্তি করেন কবি আনিস মুহম্মদ। কবি মুহাম্মদ সামাদ-এর ‘মুজিব’ কবিতাটি ত্রিপুরা ভাষায় আবৃত্তি করেন লুনা ত্রিপুরা, হাজং ভাষায় কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা’র  ‘টুঙ্গিপাড়ার খোকা বাবু’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন রীতাশ্রী হাজং।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক