মিশরে হিজাব পরা নারীরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যর শিকার হচ্ছেন। তবে দেশটিতে এই আচরণ সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল বলে উল্লেখ করা হয়। দেশটিতে ধর্ম, লিঙ্গ, বর্ণ বা সামাজিক অবস্থান দেখে কোনরকম বৈষম্য করা নিষিদ্ধ।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বৈষম্যর শিকার হয়েছেন এমন অনেকের বক্তব্য। এমনই একজন জানিয়েছেন, 'আপনি হয়তো কোন অনুষ্ঠানে গেলেন, কিন্তু কেউ আপনাকে কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না, তখন আপনার একাকী মনে হবে।
অনেক ক্ষেত্রে শুধুমাত্র হিজাব পরার কারণে তাদের অনেক স্থানে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলেও অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। দেশটির আইনজীবী এবং নারী অধিকার কর্মী নাদা নাশাত জানিয়েছেন, 'যেসব অনুষ্ঠানস্থলে হিজাবি নারীদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি, তারা নিজেদের উচ্চ মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়। তবে হিজাব পরে না, এমন নিম্নবিত্ত নারীদের ক্ষেত্রেও বৈষম্য করতে দেখেছি। '
অদ্ভুত হলেও সত্যি যে, কায়রোয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনকারী কেন্দ্রে হিজাব পরা নারীদের ঢুকতেই দেয়া হয় না। বেশিরভাগ কেন্দ্র থেকে অতিথিদের সামাজিক মাধ্যম প্রোফাইলের তথ্য চাওয়া হয়। ১১টি প্রতিষ্ঠান থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, মাথা ঢেকে কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
তবে পরবর্তীতে পরবর্তীতে অবশ্য এসব অস্বীকার করে ওইসব কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, 'এটি পুরোপুরি সত্য না। ' এবং হিজাব পরা নারীদের প্রবেশ করতে না দেয়ার কোন নীতি তাদের প্রতিষ্ঠানের নেই।
news24bd.tv/FA