'গাম্বিয়ার শান্তিরক্ষী বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ'

সংগৃহীত ছবি

'গাম্বিয়ার শান্তিরক্ষী বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ'

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ইউনাইটেড ন্যাশনস চিফ অব পুলিশ সামিটে অংশগ্রহণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদসহ বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল জাতিসংঘ সদর দফতরে গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেইয়াকো সনকো ও জাতিসংঘের সন্ত্রাস দমন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ভ্লাদিমির ভরনোকভ এর সাথে বৈঠক করেছেন।  

বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সাফল্য, ভূমিকা ও অবদানের প্রশংসা করেন গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।

এ সময় তিনি গাম্বিয়ার শান্তিরক্ষী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। শান্তিরক্ষী মোতায়েন পূর্ববর্তী প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও গাম্বিয়াকে সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানান গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় গাম্বিয়ার শান্তিরক্ষীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে আশ্বাস দেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের আইজিপি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

গাম্বিয়ার পুলিশ বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের পুলিশের সক্ষমতা সম্পর্কে গাম্বিয়ান প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন তিনি।

বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রশংসা করেন গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠককালে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা হয়।

গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার মধ্যে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ পুনর্ব্যক্ত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক্ষেত্রে গাম্বিয়াকে যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান।

জাতিসংঘের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল ভ্লাদিমির ভরনোকভ এর সাথে বৈঠককালে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত সন্ত্রাস দমনে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভবিষ্যতে সন্ত্রাস দমনে জাতিসংঘের এই অফিসের সাথে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।  

এসময় ভ্লাদিমির ভরনোকভ বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও সফলতার প্রশংসা করেন। তিনি ২০২৩ সালের জুনে অনুষ্ঠিতব্য সন্ত্রাস-বিরোধী সংস্থাসমূহের প্রধানদের উচ্চ-পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘ উদ্যানে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু বেঞ্চ ও রোপনকৃত বৃক্ষ পরিদর্শন করেন। এ সময় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি  কনসুলেট জেনারেল অব বাংলাদেশ, নিউইয়র্ক অফিস পরিদর্শন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপি কনসুলেট জেনারেল অব নিউইয়র্ক, বাংলাদেশ অফিসের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।

news24bd.tv/আজিজ