ভারতের কর্ণাটকের মাইসুরুর লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু শিবমূর্তিকে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর শিবমূর্তিকে আটক করে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু বৃহস্পতিবারই (১ সেপ্টেম্বর) ওই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল কর্ণাটক পুলিশ। তারপরই গ্রেপ্তার হন শিবমূর্তি মুরুগা শরনারু।
তিনি ছাড়াও এই মামলায় অভিযুক্ত আরও চারজন।সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে ১৫ ও ১৬ বছরের দুই কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই ধর্মগুরু। তাকে প্রাথমিকভাবে আটক করার পর ছেড়ে দেয়া হলে বিক্ষোভে উত্তাল হয় মাইসুরু শহর।
অবশেষে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
মাইসুরু পুলিশের দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যাচ্ছে, ওই দুই নির্যাতিতা কিশোরী মুরুঘা মঠ পরিচালিত স্কুলে পড়ত। ১৫ ও ১৬ বছরের ওই দুই কিশোরীকে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে ধর্ষণ করেন শিবমূর্তি। পরে বেসরকারি এক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে সব কথা খুলে বলে নির্যাতিতারা।
এরপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। খবর প্রকাশ্যে জনমনে বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়। কেবল শিবমূর্তি নয়, তাকে এই কাজে সাহায্য করার অভিযোগে অভিযুক্ত হন মঠেরই আরও চারজন।
যদিও শিবমূর্তির দাবি, তিনি নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই চক্রান্ত হচ্ছে বলেই দাবি করেছেন তিনি।
news24bd.tv/কামরুল