আজারেঙ্কার সঙ্গে হাত মেলালেন না কস্টিউক

সংগৃহীত ছবি

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের রেশ

আজারেঙ্কার সঙ্গে হাত মেলালেন না কস্টিউক

অনলাইন ডেস্ক

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সাত মাস গড়িয়েছে। এর মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনেও কত কী ঘটে গেছে। খেলাধুলায় রাশিয়া প্রায় অপাংক্তেয়। ফুটবল থেকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ দেশটি।

টেনিসের বিশ্বকাপখ্যাত গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্ট উইম্বলডনেও নিষিদ্ধ ছিলেন রুশ টেনিস খেলোয়াড়রা। তবে উইম্বলডনে যুক্তরাজ্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সে পথে হাঁটেনি যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্কে চলমান ইউএস ওপেনে দেশের পতাকা ব্যবহার না করার শর্তে রাশিয়ান খেলোয়াড়দের সুযোগ দিয়েছে তারা।

এই যুদ্ধের কারণে বেলারুশের খেলোয়াড়রাও অংশ নিতে পারেননি উইম্বলডনে।

ইউক্রেনে হামলা চালাতে রাশিয়াকে নিজেদের ভূমি ব্যবহার করতে দিয়েছিল বলেই বেলারুশের ওপর এই খড়গ নেমে আসে। তবে রাশিয়ানদের মতো বেলারুশের টেনিস খেলোয়াড়রাও সুযোগ পেয়েছেন ইউএস ওপেনে অংশগ্রহণের, সেটাও ওই একই শর্তে।

তবে রাশিয়াকে বেলারুশের সহায়তার বিষয়টি ইউক্রেনিয়ানরা যে এখনও ভুলতে পারেনি তার একটা প্রমাণ বৃহস্পতিবার আবার পেয়ে গেল বিশ্ব। ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে এদিন মুখোমুখি হয়েছিলেন বেলারুশের ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা এবং ইউক্রেনের মার্টা কস্টিউক। ম্যাচে আজারেঙ্কার কাছে ৬-২, ৬-৩ সেটে হারেন কস্টিউক।

কস্টিউক বেলারুশ তারকা আজারেঙ্কার সঙ্গে হাত মেলাননি

রীতি অনুযায়ী খেলা শেষে দুজনের হাত মেলাতে হয়। কিন্তু কস্টিউক বেলারুশ তারকা আজারেঙ্কার সঙ্গে হাত মেলাননি। শুধু র‌্যাকেটের সঙ্গে র‌্যাকেটে হালকা ছোঁয়া লাগিয়েই মুখ ঘুরিয়ে চলে যান তিনি। ম্যাচ শেষে এর পেছনের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এই ইউক্রেনিয়ান। কস্টিউক জানান, ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে নয়, আজারেঙ্কা কেন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ও বেলারুশের সহযোগিতার বিরুদ্ধে কিছু বলেন না এটাই পীড়া দেয় তাকে।

যুদ্ধের বিষয়ে আজারেঙ্কার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন কস্টিউক, ‘ম্যাচের আগে তার (আজারেঙ্কা) সঙ্গে আমি কথা বলতে চেয়েছি। খেলার আগের দিন খুদে বার্তা দিয়ে সতর্কও করে দিয়েছিলাম যে, আমি কিন্তু হাত মেলাব না। কিন্তু সে কখনোই আমার সঙ্গে এসে কথা বলেনি। এ যুদ্ধ নিয়ে তার মতটা জানায়নি। ’

যুদ্ধ সম্পর্কে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি মেয়েদের টেনিসের সাবেক শীর্ষ তারকা আজারেঙ্কা। তবে কস্টিউকের আচরণ নিয়ে ম্যাচ শেষে কথা বলতেই হয় তাকে। কস্টিউকের আচরণে খুব একটা বিস্মিত হননি বলেই গণমাধ্যমকে জানান ২০০৫ সালের ইউএস ওপেনজয়ী, ‘আমি আসলে অবাক হইনি। আর এই হাত মেলানোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছুও নয়। তবে আমি সব সময়ই প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে থাকি।

news24bd.tv/সাব্বির