ময়মনসিংহে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের সদস্য আজাদ শেখকে (৩৩) কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে নগরীর আকুয়া এলকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।

অপরদিকে যুবলীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিকেলে নগরীর চড়পাড়া এলাকায় দুটি বাসে আগুন ও কয়েকটি অটোরিক্সা ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা।

পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আজাদ শেখের গলায় ছুরি চালিয়ে অর্ধেক বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, বুকে চাপাতির কোপ আছে, পায়ে এবং হাতে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করেই হত্যাকারীরা লাশ ফেলে রেখে যায়। ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করা হয়েছে।

 

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে আকুয়া মড়লপাড়া এলাকায় আজাদ শেখ ও ফরিদ শেখের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি চলছিল। এক পর্যায়ে আজাদ শেখকে তুলে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা। পরে দুপুরে তাকে গুলিবিদ্ধ ও গলা কাটা অবস্থায় স্থানীয় নাজির বাড়ি এলাকার একটি মসজিদের পাশে ফেলে রেখে যায় হত্যাকারীরা। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আজাদ শেখের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সেখানেই রাখা হয়েছে।

এদিকে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেনের দাবি, সরকারি দলের একটি চিহ্নিত মহলই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

অপরদিকে একই ঘটনার প্রতিবাদে, বিকেল পাঁচটার দিকে আজাদ শেখের অনুসারীরা নগরীর চড়পাড়া এলাকায় পদ্মা গেইটলকের দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও কয়েকটি ইজিবাইক ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সূত্র জানায়, নিহত মহানগর যুবলীগের সদস্য আজাদ শেখ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বলয়ের আর ফরিদ শেখ ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলয়ের। প্রায় দেড় মাস ধরে ওই এলাকায় প্রতিদিনই থেমে থেমে দুপক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ ও সংঘর্ষ চলছিল। এর আগেও দুপক্ষের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়।  

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/নোমান/তৌহিদ)