জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের অচলাবস্থা নিরসনে মধ্যস্ততার প্রস্তাব তুরস্কের
জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের অচলাবস্থা নিরসনে মধ্যস্ততার প্রস্তাব তুরস্কের

সংগৃহীত ছবি

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ

জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের অচলাবস্থা নিরসনে মধ্যস্ততার প্রস্তাব তুরস্কের

অনলাইন ডেস্ক

রাশিয়ার দখলকৃত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের অচলাবস্থা নিরসনে মধ্যস্ততার প্রস্তাব দিয়েছে তুরস্ক। চলমান সংঘাতে পারমাণবিক বিপর্যয় এড়াতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান শনিবার এ প্রস্তাব দেন। খবর আল-জাজিরার।

এর আগে গ্লোবাল অ্যাটমিক এনার্জি ওয়াচডগ বলেছে, ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জাতীয় গ্রিড থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

কেন্দ্রটির সাথে গ্রিডের শেষ সংযোগ লাইনটিও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এখন একটিমাত্র রিজার্ভ লাইনের ওপর নির্ভর করছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

ইউক্রেন বিশ্বের বৃহত্তম শস্য রপ্তানিকারকদের মধ্যে একটি। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পর ইউক্রেন থেকে প্রায় সমস্ত রপ্তানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের শঙ্কা সৃষ্টি হলে তুরস্কের মধ্যস্ততায় ইউক্রেন-রাশিয়া চুক্তি হয়। এরপরই ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি আবার চালু হয়।  

শনিবার এরদোগান পুতিনকে বলেছেন, ‘তুরস্ক শস্য চুক্তিতে যেমন মধ্যস্ততা করেছিলো, তেমনি জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে। ’ তবে এরদোগান তার মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেওয়ার জন্য ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে কথা বলেছেন কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে উল্লেখ করা হয়নি।

গত মাসে এরদোয়ান ইউক্রেনের নেতার সাথে আলোচনার জন্য লভিভ পরিদর্শন করার সময় একটি পারমাণবিক বিপর্যয়ের সতর্ক করেছিলেন। এরদোয়ান বলেছিলেন, তিনি ‘আরেকটি চোরনোবিল’ বিপর্যয় এড়াতে চান।

ইউক্রেন শুক্রবার দাবি করেছে, দেশটি জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিকটবর্তী শহর এনেরহোদারে একটি রাশিয়ান ঘাঁটিতে বোমা হামলা করে তিনটি আর্টিলারি সিস্টেমের পাশাপাশি একটি গোলাবারুদ ডিপো ধ্বংস করেছে।

এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় পারমানবিক বিপর্যয়। কেন্দ্রটিতে কোন ধরনের বিস্ফোরণ হলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়বে যার প্রভাব থাকবে বছরের পর বছর।  

news24bd.tv/আজিজ