প্রায় তিন বছর হতে চলল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো সেঞ্চুরি নেই বিরাট কোহলির। একটা সময় সেঞ্চুরিকে হাতে মোয়া বানিয়ে ফেলা কোহলি ২০১৯ সালের পর থেকে আস্তে আস্তে হারাতে লাগলেন ফর্মও। এরপর কত কী কাণ্ড! স্বেচ্ছায় ছুটিতে থাকলেন, দল থেকে বিশ্রাম পেলেন। অবশেষে সেসব মনে হয় কাজে লাগছে।
অফ-ফর্মে ভোগা কোহলিকে অনেকেই এশিয়া কাপের ভারত দল থেকে বাদ দেয়ার পক্ষে থাকলেও, নির্বাচকরা তাকে ঠিকই দলে রাখে। সে বিশ্বাসের মর্যাদা কোহলি এখন রান করেই দিচ্ছেন। গতকাল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬০ রান করেন কোহলি। তার আগে হংকংয়ের বিপক্ষেও হাঁকান ফিফটি।
রানে ফেরায় কোহলির মনে হয়তো এখন বইছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। কিন্তু কদিন আগেও পরিস্থিতি ছিল চরম বিদঘুটে। বিশেষ করে যখন একে একে হারালেন তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব। কোহলি নিজে ছাড়েন টি২০ দলের দায়িত্ব। এরপর একপ্রকারে তার কাছ থেকে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব কেড়ে নেয়া হয়। কোহলি এরপর ছেড়ে দেন টেস্ট দলের দায়িত্বও।
কিন্তু ওই সময়ে কোহলির পাশে নাকি কেউই ছিলেন না। শুধু একজন বাদে! তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি। কোহলিকে যাকে এখনও নিজের নেতা মানেন। গতকাল পাকিস্তানের কাছে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে হারার পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। সেখানেই তিনি জানান, দুঃসময়ে তিনি সাবেকদের কাছ থেকে কী আশা করেছিলেন এবং কী পেয়েছিলেন!
তিনি বলেন, ‘আমি যখন টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ি, মাত্র একজন সাবেক ক্রিকেটার আমাকে ফোন করেছিল। অনেকের কাছেই আমার নম্বর আছে। কিন্তু ফোন করেছিলেন শুধু মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এ থেকেই বোঝা যায় কে আমার ভালো চায়। ’ এরপর অন্য সাবেকদের ওপর ক্ষোভ ঝারেন কোহলি, ‘যারা ওই সময়ে তার সমালোচনা করছিল, সত্যি যদি আমার কথা কেউ ভেবে থাকে তা হলে সে আমাকে ফোন করে কথা বলতে পারত। ’
news24bd.tv/সাব্বির