গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা

সংগৃহীত ছবি

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা

অনলাইন ডেস্ক

কিংবদন্তি গীতিকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শহীদ মিনারের বেদিতে তার মরদেহ নিয়ে এলে সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।  

কিংবদন্তি এ শিল্পীকে শেষ বিদায় জানাতে সকাল থেকেই শহীদ মিনারে আসতে থাকেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা। অশ্রুসিক্ত নয়নে কালের এ মহান নায়ককে বিদায় জানান তারা।

রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা জানানো হয় শিল্পীকে।  

তার পরিবার জানিয়েছে, শহীদ মিনার থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার প্রিয় প্রাঙ্গণ এফডিসিতে। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে কালজয়ী এ গীতিকারের নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে গুলশনের আজাদ মসজিদে। সেখানেই বাদ আসর অনুষ্ঠিত হবে শেষ জানাজা।

পরে বনানীতে মায়ের কবরে সমাধিস্ত করা হবে তাকে।  

গীতিকবি, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মারা যান।  

দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে বেতার, টেলিভিশন, সিনেমাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার গান রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তার লেখা কালজয়ী গানও অসংখ্য।

গীতিকবিতায় অবদান রাখার জন্য ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন তিনি। পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

বিবিসি বাংলা তৈরি করা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় ঠাঁই পায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা তিনটি। তার লেখা কিছু কালজয়ী গান হলো- ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ও পাখি তোর যন্ত্রণা’, ‘ইশারায় শীষ দিয়ে’, ‘চোখের নজর এমনি কইরা’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে’ প্রভৃতি।

news24bd.tv/ইস্রাফিল