পুলিশ কর্তৃক আটক আসামিদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়া আইনের লঙ্ঘন উল্লেখ করে চুয়াডাঙ্গার সব থানা পুলিশকে সতর্ক করেছেন আদালত। চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. লুৎফর রহমান শিশির স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ সতর্কতা জারি করা হয়।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ আইন লঙ্ঘন করে তাদের দ্বারা আটক আসামিদের নিয়মিত আদালতে সোপর্দ না করে সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের (ইউএনও এবং এসিল্যান্ড) কাছে উপস্থাপন করছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণও মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯-এর সুস্পষ্ট বিধান লঙ্ঘন করে ওই আসামিদের আইন বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিচ্ছেন।
মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ৬ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘এ আইনের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় তফসিলে বর্ণিত আইনের অধীনে কোনো অপরাধ, যা কেবল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য, তার সম্মুখে সংঘটিত বা উদঘাটিত হয়ে থাকলে তিনি ওই অপরাধ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলেই আমলে নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে, দোষী সাব্যস্ত করে এ আইনের নির্ধারিত দোষ আরোপ করতে পারবেন। ’ কিন্তু চুয়াডাঙ্গায় থানা পুলিশ কর্তৃক ধৃত আসামিদের যে নিয়মে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে তা আইনের বিধান লঙ্ঘন।
আদেশে জেলার সকল অফিসার ইনচার্জকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে পুলিশ কর্তৃক আটক আসামিদের ক্ষেত্রে আইন বহির্ভূত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহায়তা করার কোনো সংবাদ গোচরীভূত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের কারণে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সুপ্রিম কোর্টকে অবহিত করা হবে।
news24bd.tv/FA