‘ইহুদি বিদ্বেষ’র অভিযোগ এনে জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ডয়চে ভেলের সাবেক ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি ফারাহ মারাকাকে বরখাস্ত করা হয়। তবে তাকে চাকরিচ্যুত করাকে বেআইনি বলে ঘোষণা দিয়েছে জার্মানির একটি আদালত।
ইউরোপে ফিলিস্তিনিদের আইনি অধিকারের পক্ষে কাজ করা ইএলএসসির পরিচালক জিওভান্নি ফ্যাসিনা সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি একটি স্বস্তির বিষয় যে বিচারক ফারাহের পক্ষে রায় দিয়েছেন এবং অবৈধ বরখাস্তের জন্য ডয়চে ভেলেকে দায়ী করেছেন। ’
‘আমরা আশা করি এটি একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাবে যে, তাদের সেন্সরশিপ অনুশীলন বন্ধ করা উচিত।
গত ফেব্রুয়ারিতে ফারাহসহ ছয় আরব সাংবাদিককে বরখাস্ত করে ডয়চে ভেলে। এর প্রতিবাদে গত জুলাইয়ে সংবাদ মাধ্যমটির বিরুদ্ধে মামলা করে ফারাহ।
বাহ্যিক তদন্তের পর মারাকার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তার পূর্ববর্তী আর্টিকেল বা সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানানো সবাই ইহুদি বিদ্বেষী ফিলিস্তিনি ও লেবাননের নাগরিক।
জার্মানি দ্বারা গৃহীত পদক্ষেপে বোঝা যায়, তারা ইসরায়েলি নীতির বিরুদ্ধে যাওয়া বা তাদের সমালোচনাকরী ফিলিস্তিনি সমর্থকদের চুপ করাতে চায়। এমনকি ভিন্নমতদের চুপ করাতে তারা চাকরিচ্যুতের মতো কাজ করছে।
ইএলএসসি থেকে আল-জাজিরাকে জানানো হয়, জার্মানিতে ফিলিস্তিনপন্থীদের নীরব করার জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক চর্চা হয় এই মামলা তা চিহ্নিত করেছে এবং এটি উদ্বেগজনক। এ ছাড়া কীভাবে ফিলিস্তিনবিরোধী মনোভাব ও আইএইচআরএ’র সংজ্ঞা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহার মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে মারাত্মক লঙ্ঘন করে তা দেখায়।
মারাকা ও ছয় আরব সাংবাদিকদের বিষয়ে ডয়চে ভেলের তদন্ত কমিটিতে নেতৃত্বে দেন জার্মানির প্রাক্তন বিচারমন্ত্রী সাবিন লিউথুসার-শ্নারেনবার্গার ও আহমেদ মনসুর। সাবিন ইসরায়েলপন্থী মতামতের জন্য পরিচিত। এমনকি সাবিনের বিরুদ্ধে ইসলামফোবিয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
news24bd.tv/মামুন