ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে শুরু হয় এই অভিযান। এরইমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। শরণার্থী হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
রুশ গ্যাসের দাম বেঁধে দেয়া হলে ইউরোপে রাশিয়া জ্বালানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করার হুমকি দিলেও সে পথেই পা বাড়াচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হুমকির কয়েক ঘণ্টা পর রাশিয়ার গ্যাসের মূল্যসীমা বেঁধে দেয়ার প্রস্তাব করেছে ইইউয়ের নির্বাহী পরিষদ।
গতকাল বুধবার এ প্রস্তাব দিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট। রাশিয়ার রাজস্ব কমাতে হবে ইউরোপকে। যে রাজস্ব দিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধের খরচ চালাচ্ছেন পুতিন।
পুতিন ইতিমধ্যেই বলেছেন, মস্কো গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়ে দাম সীমিত করার উদ্যোগের জবাব দেবে।
পুতিন আরও বলেন, 'আমরা গ্যাস, তেল, কয়লা, শীতে ঘর গরম করার তেল কিছুই সরবরাহ করব না যদি এটি রাশিয়ার স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়। '
এদিকে, ইউক্রেনীয়দের জোরপূর্বক রাশিয়ায় নির্বাসন দিয়ে মস্কো যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে বুধবার অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা ঠাস গ্রিনফিল্ড এ কথা জানান। এরইমধ্যে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষার ওপর ও নিরাপত্তার ওপর জোর দিয়ে তার দেশের আগামী বছরের বাজেট হবে যুদ্ধের বাজেট।
সূত্র: বিবিসি
news24bd.tv/রিমু