লাম্পি ভাইরাসে ৪৬ হাজার গরুর মৃত্যু

সংগৃহীত ছবি

লাম্পি ভাইরাসে ৪৬ হাজার গরুর মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের রাজস্থানে লাম্পি ভাইরাসে ৪৬ হাজার গরুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে সংক্রমিত হয়েছে ১৫ লাখেরও বেশি গরু। আর মারা গেছে ৫৭ হাজার।

ভারতে ১৫টি রাজ্যের ১৭৫টি জেলায় লাম্পি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রাজস্থানে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাজস্থান রাজ্যে মৃত গবাদি পশুর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এ কারণে গরু পালনের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোর সামনে জীবিকার সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, দুধেরও ঘাটতি রয়েছে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে যেসব রাজ্যে সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে টিকা প্রদানের গতি বাড়াতে হবে। আগামী দুই মাসে ৪০ লাখ গরুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।  

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মৎস্যচাষ, প্রাণী সম্পদ ও ডেয়ারি মন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপালা বলেন, এ পর্যন্ত দুধ উৎপাদনে কোনো প্রভাব পড়েনি। টিকা বৃদ্ধি এবং মান অনুসরণ করে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রাজ্যগুলোকে মৃত গবাদি পশু দাফন করার জন্য নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলতে বলেছেন তিনি।  

পশুপালন ও ডেয়ারি বিভাগের সচিব যতীন্দ্র নাথ সোয়াইন বলেছেন, এ পর্যন্ত ৫৭ হাজার গবাদি পশু মারা গেছে এবং এর মধ্যে প্রায় ৩৭ হাজার রাজস্থানের। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার অনবরত রাজ্যগুলোকে ওই বিষয়ে পরামর্শ পাঠাচ্ছে।   

ধারণা করা হচ্ছে, ভাইরাসটি বেশি সক্রিয় হওয়ার কারণ হল বৃষ্টি। বৃষ্টি থামার সাথে সাথে ভাইরাস ছড়ানো মশা ও মাছি কমে যাবে এবং লাম্পি নিয়ন্ত্রিত হবে। এদিকে, টিকা দেওয়ার কাজও দ্রুত গতিতে চলছে। বর্তমানে গরুকে গোট পক্স  ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তবে, ন্যাশনাল ইকুইন রিসার্চ সেন্টার এবং ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউট একটি দেশীয় ভ্যাকসিন তৈরি করেছে।

লাম্পি আক্রান্ত হলে গাভীর দুধ খুব কম হয়ে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়। রাজস্থানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ৫টি জেলায় দুধের উৎপাদন ৩০ শতাংশ কমেছে। গুজরাটে এটি ১০ শতাংশ। সরবরাহ কম থাকায় কিছু দুগ্ধ সমিতি দুধের দাম বাড়িয়েছে।

news24bd.tv/রিমু