মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দৃশ্যত সৌদি আরবের কাছে ‘পণবন্দী’ হয়ে পড়েছেন বলে ইরানের ওপেক বিষয়ক গভর্নর হোসেইন কাজেমপুর আরদেবিলি জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, সৌদি আরবের কারণে তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে, ইরানি তেলের শূণ্যস্থান পূরণ করতে পারে রিয়াদ।
হোসেইন কাজেমপুর বলেন, সৌদি আরব যখন বলে যে, তারা ইরানের জায়গায় নিজেরাই প্রতিদিন ২৫ লাখ ব্যারেল বাড়তি তেল উত্তোলন করতে পারে তখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ নিতে উৎসাহী হয়ে ওঠেন।
ট্রাম্প প্রশাসন ইরান থেকে তেল কেনা বন্ধ করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র চাইছে আগামী ৪ নভেম্বর থেকে ইরান যেন কোনো দেশের কাছে তেল বিক্রি করতে না পারে। তেহরানের তেল বিক্রি শূণ্যের কোঠায় নেমে আসে।এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সৌদি আরবের সমর্থন চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং সৌদি আরব ইরানি তেলের ঘাটতি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রিয়াদ যদি এই প্রতিশ্রুতি না দিত তাহলে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষে ইরান-বিরোধী তেল নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন সহজ হতো না।
এ পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, বেশ কিছু দেশকে ইরান থেকে তেল কেনার বিষয়ে ছাড় দেওয়া হতে পারে।