শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের সাইকিয়াট্রি বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাসে র্যালির মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির শুরু হয়।
পরে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘কর্মের মাধ্যমে আশার সঞ্চার’।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, অধ্যক্ষ ডা. এবিএম মাকসুদুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, ডা. মো. খলিলুর রহমান, ডা. মো সাইদুজ্জামান ও ডা. মো. তারিকুল আলম।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মুস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. জিল্লুর রহমান খান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জোবায়ের মিয়া।
বিশ্বে আত্মহত্যা প্রতিরোধে ২০০৩ সাল থেকে প্রতিবছর ১০ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ সংস্থা দিবসটি পালন করে আসছে। ২০০৩ সাল থেকে দিবসটি পালন করা শুরু হলেও ২০১১ সালে প্রায় ৪০টি দেশ এই দিবসটি উদযাপন করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক নির্যাতন, কলহ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, পরীক্ষা ও প্রেমে ব্যর্থতা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, প্রাত্যহিক জীবনের অস্থিরতা, নৈতিক অবক্ষয় এবং মাদক ইত্যাদি কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মহত্যা প্রবণতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দশম। বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আজ এই দিবস পালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে প্রতি বছর দেশে কমপক্ষে ১৩ হাজার থেকে ৬৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। গত এক যুগে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশে আত্মহত্যায় মৃত্যুহার প্রতি লাখ মানুষে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৬ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে ৮ লাখেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে।
সংস্থাটির মতে, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে। এছাড়াও এর প্রায় ১৫ থেকে ২০ গুণ মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়।
news24bd.tv তৌহিদ