চট্টগ্রামে শিশুকে আসামি করে মিথ্যা মামলা, সাক্ষ্য ও প্রতিবেদন দেয়ায় দুই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক বিচারক। গত ৪ সেপ্টেম্বর শিশুটি নির্দোষ বলে রায় দেন আদালত। এরপরই দুই পুলিশের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে মামলাটি করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা। আদালতের বেঞ্চ সহকারী সৈয়দ নুর এ খুদা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, অভিযুক্ত এসআই আনোয়ার হোসেন ও সুবীর পালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব।
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দুটি স্বর্ণের বার পাচারের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার বাটারফ্লাই পার্ক থেকে নাজমুল হাসান জুয়েল নামে এক শিশুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ওই শিশুর বিরুদ্ধে এসআই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান পতেঙ্গা থানার এসআই সুবীর পাল।
তদন্ত শেষে শিশু নাজমুলকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। মামলায় এক সাক্ষী সোনার বারের কাগজপত্র উপস্থাপন করেন। মামলা সত্য প্রমাণ করতে আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেন বাদী। রাজস্ব অফিস থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য না নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল গ্রেফতারের পর এক মাস ৬ দিন জেলহাজতে আটক থাকার পর শিশুটি জামিন পায়।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের গত ৪ সেপ্টেম্বর শিশুটি নির্দোষ বলে রায় দেন আদালত। জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আজমুল হুদা।
মিথ্যা মামলা, প্রতিবেদন ও সাক্ষী দেয়ায় দুই এসআই আনোয়ার হোসেন ও সুবীর পালের বিরুদ্ধে এরপর মামলার করেন বিচারক। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বলে জানান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৭ এর পাবলিক প্রসিকিউটর খন্দকার আরিফুল ইসলাম।
news24bd.tv/আলী