সাফ ফুটবলে অনন্য ইতিহাস রচনা বাংলাদেশের নারী দল। মঙ্গলবার নেপালের কাঠমান্ডুতে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পেয়েছে জয়ের স্বাদ। সেটাও আবার ৩-০ গোলে অনায়াস জয়ে। সাবিনা-কৃষ্ণাদের এমন সাফল্যে এখনও উচ্ছ্বাসে ভাসছে দেশের ফুটবল অঙ্গন।
নারী দলের স্মরণীয় সেই জয়ে মুগ্ধ বাংলাদেশের পুরুষ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও। তার মতে, নারীদের এই জয় তাদেরও চাপে ফেলে দিয়েছে। চাপটা ভালো করার তাড়নার।
আগামী ২২ ও ২৭ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে কম্বোডিয়া ও নেপালের বিপক্ষে দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
সংবাদ সম্মেলনে জামাল বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে মেয়েরা দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। তাদের এ জয়ে আমাদের ঘিরেও প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। যা আমাদের ওপর চাপ বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। তবে নিজেদের সেরাটা দিয়ে আমরাও জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। ’
কম্বোডিয়ার বর্তমান ফিফা র্যাঙ্কিং ১৭৪। নেপাল আছে তাদের দুই ধাপ নিচে। তবে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯২। র্যাঙ্কিংয়ে বেশ পিছিয়ে থাকলেও জয়ের আশা ছাড়ছেন না জামাল। ম্যাচ দুটিকে তিনি বেশ গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন র্যাঙ্কিংয়ের উন্নতিতে চোখ রেখে, ‘শুধু এ দুটি নয়, আমার কাছে প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ দুটি জিতলে আমাদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হবে। ’
সেটপিস বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা। শেষ মূহূর্তে সেটপিস থেকে গোল হজমের বিষয়টি লক্ষণীয়। আবার সেটপিস থেকে গোল করতে না পারার ব্যর্থতাও সঙ্গী বাংলাদেশের। তবে হাভিয়ের কাবরেরার অধীনে এবার প্রস্তুতিতে এই সেটপিস নিয়ে আলাদা কাজ করেছেন। বেশ ঘামই ঝরেছে সেটপিস সমস্যা সমাধানে।
জামাল বলছিলেন, ‘সেটপিস থেকে গোল খাওয়ার সমস্যা সমাধান করতে হবে আমাদের। এ নিয়ে আমরা ক্যাম্পে কাজ করেছি। গত চার বছরে আমরা এমন কঠোর পরিশ্রম করিনি। রাফ অ্যান্ড টাফ অনুশীলন হয়েছে। আশা করছি, সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি সেটপিস থেকে গোলও করতে পারবো। ’
news24bd.tv/সাব্বির