দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল সাকিব বাহিনী।
১৭২ রানের জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। স্কোরবোর্ডে ৫ রান তুলতেই এভিন লুইসের উইকেটটি তুলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে বিধ্বংসী ওপেনারকে ফেরান তিনি।
দলের এ বিপর্যয়ে টিকে ছিলেন আন্দ্রে ফ্লেচার। রোভম্যান পাওয়েলকে নিয়ে দুরন্তগতিতে ছুটছিলেন তিনি। ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন। অবশেষে নাজমুল ইসলামের দুর্দান্ত ঘূর্ণিতে তালগোল পাকিয়ে সাকিবকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফ্লেচার। তার আগে ৩৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পরক্ষণেই ক্যারিবীয় অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েটকে তুলে নেন সাকিব। আর শিকড় গেঁড়ে বসা রোভম্যানকে শিকার বানান মোস্তাফিজ। ফেরার আগে ৩৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। মূলত রোভম্যানের বিদায়ের পরই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৫ রান। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও নাজমুল ইসলামের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক সাকিব। আস্থা রাখেন এ স্পিনার। এক ঝটকায় ফিরিয়ে দেন নার্স ও পলকে। শেষ পর্যন্ত ১৫৯/৯ রান তুলতে সক্ষম হন স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের হয়ে মোস্তাফিজ ও নাজমুল নেন ৩টি করে উইকেট। সাকিবের ঝুলিতে জমা হয় ২ উইকেট।
রোববার ফ্লোরিডার লডারহিলে টস ভাগ্যে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। তবে শুরুতেই হোঁচট খান সফরকারীরা। স্কোরবোর্ডে ৭ রান যোগ হতেই অ্যাশলে নার্সের শিকার হয়ে ফেরেন ওপেনিংয়ে নামা লিটন দাস (১)। আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করে ওয়ানডাউনে নামা মুশফিকুর রহিম। ৪ রানে ফিরে যান। সৌম্য ফিরে যান ১৪ রানেই। বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। হাল ধরেন তামিম। একপ্রান্ত আগলে রাখেন। সাকিবকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন। জমে ওঠে তাদের জুটি। দলীয় ১৩৮ রানে রাসেলের শিকার হয়ে ফেরেন তামিম। ফেরার আগে ৪৪ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি ড্যাশিং ওপেনারের ষষ্ঠ ফিফটি।
তামিম ফিরলেও সাকিবের তাণ্ডব চলতে থাকে। ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে কিমো পলের বলে মারতে গিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এর আগে তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৭ম ফিফটি। ৩৮ বলে ৬০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পথে হাঁকান ৯ চার ও ১ ছক্কা।
শেষ পর্যন্ত ১৭১ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৩ ও আরিফুল হক ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
