বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টার শেল নিক্ষেপে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত এবং পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো-কে তলব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই তলবের জেরে মন্ত্রণালয়ে এসেছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মন্ত্রণালয়ে পৌঁছান মিয়ানমার দূত।
এ নিয়ে সবশেষ এক মাসের মধ্যে চতুর্থবারের মতো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসেছেন মিয়ানমার দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
বেশ কিছুদিন ধরে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে দেশটির সেনা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরাকান আর্মি’র লড়াই চলছে। এ সময়ে মিয়ানমারের সেনা বাহিনীর হেলিকপ্টার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গোলাগুলি চলে। রাত ৮টার দিকে একটি মর্টার শেল এসে তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখায় পড়ে। এতে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় এক শিশুসহ পাঁচ রোহিঙ্গা নাগরিক আহত হন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে শুক্রবার বিকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে উইনু থোয়াইং তঞ্চঙ্গ্যা (২২) নামে এক তরুণের বাঁ পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার ভূখণ্ড থেকে ছোড়া একটি গুলি বাংলাদেশ সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় এসে পড়ে। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় পড়ে। তার আগে ২৮ আগস্ট বিকেলের দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা একটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রুতে এসে পড়ে।
news24bd.tv/মামুন