রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে নিমন্ত্রণ করায় ব্রিটেনের মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সমালোচনার ঝড় বইছে বিভিন্ন মহলে।
রোববার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংবাদিক জামাল খাসোগী হত্যায় যুবরাজের সম্পৃক্ততার কথা জানায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। তবে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স এবং তার সরকার এটি অস্বীকার করে।
নিহত খাসোগীর বাগদত্তা হ্যাটিস গেঙ্গিজ বলেছেন, তাকে আমন্ত্রণ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্মৃতির প্রতি একটি কলঙ্ক।
ক্যাম্পেইন এগেইনস্ট দ্য আর্মস ট্রেডের অভিযোগ, তাদের ভাষায় সৌদি আরব এবং অন্যান্য উপসাগরীয় রাজতন্ত্রগুলো তাদের মানবাধিকার বিষয়ক দুর্নাম ঘোচানোর জন্য রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াকে ব্যবহার করছে। অস্ত্রবিরোধী এই সংস্থাটি মনে করে, আট বছর আগে ইয়েমেনে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, ব্রিটেন সেখানে যুদ্ধরত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের কাছে ২৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছে। দুই হাজার সতের সালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হওয়ার পর থেকে সেখানে সামান্য যতটুকু রাজনৈতিক স্বাধীনতা ছিল তাও সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
সংস্থাটির দাবি, সরকারের সমালোচকদের সেখানে ব্যাপকহারে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এমনকি শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কোন কিছু পোস্ট করার জন্যেও। একই সময়ে মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবে সামাজিক উদারীকরণের একটি বিশাল কর্মসূচি শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, সবশেষ ২০১৮ রানি এলিজাবেথের সাথে দেখা হয়েছিল যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। সাংবাদিক জামাল খাসোগী হত্যায় যুবরাজের সম্পৃক্ততার কথা চাউর হলে ব্রিটেনে যাওয়া বন্ধ করেন সালমান। পশ্চিমা বিশ্বে তিনি তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।
news24bd.tv/FA