সাম্ভাব্য চীনা আক্রমন থেকে তাইওয়ানকে প্রতিরক্ষা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। রবিবার সিবিএসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
চীনা আক্রমন থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী তাইওয়নকে প্রতিরক্ষা দেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, 'অবশ্যই, হামলা হলে প্রতিরক্ষা দেবে যুক্তরাষ্ট্র'। ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাইওয়ান ইস্যুতে সেমনটা করবে না দেশটি।
তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে 'কৌশলগত অস্পষ্টতার' নীতিতে আটকে আছে। এর আগে দেশটির উপর আক্রমণ হলে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক প্রতিক্রিয়া জানাবে কিনা তা স্পষ্ট করেনি।
তবে হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র বলেছেন, তাইওয়ানের প্রতি মার্কিন নীতির কোন পরিবর্তন হয়নি।
সাক্ষাৎকারে বাইডেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র বলে সমর্থন করে না। চীনের 'এক-চীন' নীতিতে বিশ্বাস করে বলেও জানান তিনি।
তবে বাইডেনের এই মন্তব্যে রাগান্বিত করবে চীনকে। এর আগে ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল দেশটি। সে সময় তাইওয়ান ঘিরে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালায় দেশটি।
জুলাইয়ে বাইডেনের সাথে ফোনালাপে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, তাইওয়ান ইস্যুতে আগুন নিয়ে খেলা না করতে সতর্ক করেন। তিনি বলেন আগুন নিয়ে খেললে আগুনেই পুড়তে হবে।
গত অক্টোবরে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র আসবে কিনা জানতে চাইলে বাইডেন বলেছিলেন, 'হ্যাঁ, এটি করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ'।
জার্মান মার্শাল ফান্ডের এশিয়া বিশেষজ্ঞ বনি গ্লেসার বলেছেন, বাইডেন যদি তাইওয়ানকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন তবে তাকে আগে নিশ্চিত করতে হবে যে নিরাপত্তা দেয়ার সামর্থ যুক্তরাষ্ট্রের আছে।
তিনি আরও বলেন, 'বাইডেন যদি তাইওয়ানকে প্রতিরক্ষা দেয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে তার নিশ্চিত করা উচিত যে মার্কিন সামরিক বাহিনী তা করার সক্ষমতা রাখে। '
news24bd.tv/আজিজ