শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সরকার প্যারালাইজড হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। বোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া আদর্শ একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এই যে সরকারের ব্যভিচার, কুশাসন, দুঃশাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের যে ক্ষোভ আছে, সেটাও একটি সময় আসবে যখন বিস্ফোরিত হবে। আমরা কি কেউ জানতাম যে এ দেশে কোটা আন্দোলন হবে? আমরা কি সপ্তাহখানেক আগেও জানতাম যে এই আন্দোলনে সরকার প্যারালাইজড হয়ে যাবে? তারা সরকারকে প্যারালাইজড করে দিয়েছে।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের ঘরে ফিরিয়ে দিতে পারবেন, তাদের ওপর মামলা করতে পারবেন কিন্তু তাদের মনের ক্ষোভ তো দূর করতে পারবেন না। কারণ, এভাবে এটা করা সম্ভবপর নয়। সরকারের উচিত ছিল একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া। এরা কখনও সেটা করে না।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করে উচিত মনে করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তো সরকারকে অচল করে দিয়েছে। আমরা তো এখনও কোনও কর্মসূচি দিইনি। তার আগেই তো এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমনভাবে চলছি যে আমরা কখনও এর গভীরে কখনও যাইনি। কিন্তু এবার এই ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, তিনজন মন্ত্রীর গাড়ির ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই, লাইসেন্সের জন্য এমপি পঙ্কজ দেবনাথ তো দুই ঘণ্টা আটকে ছিলেন। সচিবের গাড়ির চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। পুলিশের গাড়ির চালকের লাইসেন্স নেই। তারাই আইনরক্ষাকারী, তাদেরই আমাদের রক্ষা করার কথা আর তাদেরই ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই। এতেই বোঝা যায় দুর্নীতি যার দুঃশাসনে দেশ ভরে গেছে। ’
মওদুদ আহমদ বলেন, দেশে এক লাখ চালক নাকি লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছে। আবার ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা আরও বেশি। এই বাস-ট্রাকগুলোর মালিক কারা? খুঁজে দেখবেন এটা শুধু নৌমন্ত্রী নন, সরকারের অনেক মন্ত্রী-এমপি আছেন এই বাস-ট্রাকের মালিক। এদের প্রত্যেকের নাম ঘোষণা করতে হবে। সরকারকে বলব, যদি স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে চান তাহলে তাদের নাম প্রকাশ করুন। শুধু নৌমন্ত্রী নন, এদের সবাইকে দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। ’
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ )
