ইরানি তরুণীকে ‘হত্যা’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গুলিতে নিহত ৫

সংগৃহীত ছবি

ইরানি তরুণীকে ‘হত্যা’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গুলিতে নিহত ৫

অনলাইন ডেস্ক

পুলিশি হেফাজতে তরুণী মাহসা আমিনি ‘হত্যা’কে ঘিরে বিক্ষোভে উত্তাল ইরান। দেশটির কুর্দি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানকার বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন পাঁচজন।

খবর রয়টার্সের।

নিজেদের প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থাটি জানায়, হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আটককৃত মাহসা আমিনির পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় গত তিনদিন ধরে ইরানে বিক্ষোভ চলছে। কুর্দি অঞ্চলেও হয়েছে বিক্ষোভ। সেখানে বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে পাঁচজন মারা গেছেন।

মানবাধিকার সংস্থা হেনগাও এক  টুইট বার্তায় জানায়, আমিনির জন্মস্থান কুর্দি অঞ্চলের সাকেজ শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুজন মারা গেছে। দিভান্ডারেহ শহরে আরও দুজন এবং দেহগোলানে আরও একজন নিহত হয়েছেন।

তবে মৃত্যুর বিষয়টির সত্যতা যাচাই পারেনি রয়টার্স।

আমিনির মৃত্যু নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ইরানি প্রশাসন। দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, আমিনি ইস্যুতে দেশের সাতটি অঞ্চলে ‘সীমিত’ বিক্ষোভ হয়েছে; যেগুলোকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।

দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল নিজেদের প্রতিবেদনে বলেছে, বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে দুজন আহত যুবককে মৃত দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। তবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে প্রশাসন।

ইরানে জনপরিসরে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরাসহ কঠোর পর্দাবিধি রয়েছে। এই বিধিগুলো কার্যকর হচ্ছে কি না, তা তদারকি করে দেশটির নৈতিকতা–বিষয়ক পুলিশ। এই বিধির আওতায় নৈতিকতা–বিষয়ক পুলিশ দল গত মঙ্গলবার আমিনিকে তেহরান থেকে আটক করে। আমিনি তার পরিবারের সঙ্গে তেহরান সফরে গিয়েছিলেন।

আটকের পর তিনি থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তেহরানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আমিনির মৃত্যু নিয়ে দেশটির পুলিশ বলছে, নৈতিকতা পুলিশ দ্বারা বন্দি অন্যান্য মহিলাদের সঙ্গে অপেক্ষা করেছিলেন আমিনি। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

তবে আমিনির বাবার দাবি তার মেয়ের কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের পায়ে ক্ষতের চিহ্ন পেয়েছি। পুলিশই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। ’

news24bd.tv/মামুন