মেয়েদের ফোকাসে রাখতে বিমানবন্দরেও যাবেন না কাজী সালাউদ্দিন

সংগৃহীত ছবি

মেয়েদের ফোকাসে রাখতে বিমানবন্দরেও যাবেন না কাজী সালাউদ্দিন

অনলাইন ডেস্ক

অনেকদিন আগে নিজের একটা স্বপ্নের কথা জানিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। স্বপ্নটা সাফের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের হাতে অন্তত একবার সাফ চ্যাম্পিয়নের ট্রফি তুলে দেওয়া। ছেলেরা সালাউদ্দিনের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে না পারলেও, পেরেছে মেয়েরা।

সোমবার নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো জিতেছে নারী সাফের শিরোপা।

বাফুফে এবং সাফ সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের স্বপ্নপূরণ হলেও, তিনি নিজেই ছিলেন না নেপালে। ফলে তিনি ট্রফিও নিজে হাতে তুলে দিতে পারেননি গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যদের।

মেয়েদের বরণ করতে বাফুফে সভাপতিকে দেখা যাবে না আগামীকাল বিমানবন্দরেও। কারণটা তিনি আজ নিজেই জানিয়েছেন বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে।

বলেছেন, ‘আমি বিমানবন্দরে গেলে মেয়েদের ওপর থেকে ফোকাসটা ভাগ হয়ে যেতে পারে। আমি চাই, মেয়েরাই পুরোপুরি ফোকাসে থাকুক। ’

সালাউদ্দিন মনে করেন তিনি বিমানবন্দরে গেলে আলোটা ভাগ হয়ে যাবে। ফোকাসটা তাই মেয়েদের ওপরই যাতে থাকে সে জন্য তার এমন সিদ্ধান্ত, মেয়েরা কাপ নিয়ে আসছে। আমি গেলে আপনারা (সাংবাদিকেরা) আমাকে প্রশ্ন করবেন। তাতে আলোটা ভাগ হয়ে যাবে। আমি চাই, পাদপ্রদীপের আলো যেন ওদের ওপর থাকে। আপনারা ফোকাস করুন ওদের। যাতে দু-চার বছরে আরও বড় কিছু জিততে পারি। আমি বাফুফে ভবনে ওদের বরণ করব।

নেপালে থেকে সরাসরি বাংলাদেশের ট্রফি জয় উদযাপনে থাকতে পারেননি সালাউদ্দিন। তবে শিরোপা নিশ্চিতের পর তার মন চেয়েছিল যে করেই হোক নেপালে উড়ে যেতে। সেই কথাই আজ বলছিলেন তিনি, ‘আমার মনে হয়েছিল, আমি যদি বড়লোক হতাম, তাহলে নিজে প্লেন চালিয়ে ওখানে (কাঠমান্ডু) নেমে যেতাম। কাল (সোমবার) আমার অনুভূতি এ রকম ছিল। ’

ঠিক কি কারণে নেপাল যাননি সেটাও আজ পরিষ্কার করলেন সালাউদ্দিন। তিনি ভেবেছেন তার নেপালে যাওয়া দলের ওপর বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি নেপাল যাওয়ার জন্য তিনবার টিকিট করে তিনবার বাতিল করেছি। সাফের সভাপতি হিসেবে কাপ দিতে পারতাম আমি। তবে সাফ সভাপতি হিসেবে কাপ দেওয়ার চেয়ে আমি ভেবেছি, মেয়েরা জিতে আসুক। ভাবলাম, আমি গেলে মেয়েরা চাপে পড়বে। আমি গেলে ভালো হতে পারে আবার খারাপও হতে পারে। ’

news24bd.tv/সাব্বির