মেয়েকে ধর্ষণের পর মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি ও তার মা রুমি খাতুনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রবিবার রাত ৮টার দিকে পাবনা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার রাত প্রায় পৌনে ৮টায় পাবনা শহর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে তুফান সরকার, তার সহযোগী রুপম ও আলী আজমকে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
দুপুর আড়াইটার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যাম সুন্দর রায় এ আদেশ দেন।জানা যায়, বগুড়া শহরের নামাজগড় এলাকায় মা ও বাবার সাথে ভাড়া বাসায় বসাবাস করে ওই কিশোরী। সে এবার বগুড়া শহরের জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেছে। তার বাবা একজন ব্যবসায়ী।
তুফান সরকার কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে ১৭ জুলাই সকালে নিজ বাড়িতে ডেকে পাঠায়। সেখানে সুযোগ পেয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তুফান সরকার। এ ঘটনার পর ২৮ জুলাই রাতে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও আশার বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি বিচারের কথা বলে ওই কিশোরী এবং তার মাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে আটক রেখে ওই কিশোরী ও তার মাকে নির্যাতন, মারপিট করে মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাতে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় গত ২৮ জুলাই রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তুফান সরকারসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তার বোন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর মা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় নারী নির্যাতন ও অপহরণের অভিযোগে পৃথক ধারায় দুইটি মামলা দায়ের করেছেন।