কুষ্টিয়ায় জেলা ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন একই কমিটির সহসম্পাদক নওরিন রহমান (১৯)। ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) কুষ্টিয়া মডেল থানা মামলা হিসেবে অভিযোগটি নথিভুক্ত করে। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিটকে দেয়া হয়েছে।
আসামিরা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক ফারদিন সৃষ্টি (২২), সদস্য মোহাম্মদ হৃদয় (২৪), রেফাউল ইসলাম (২২), শাকিল আহমেদ তুষার (২৮), মো. রাহাতুল ইসলাম (২১) ও কর্মী মুহায়মিনুল মিরাজ (২৩)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা নিজেদের ফেসবুক আইডি থেকে নওরিন রহমানের কিছু আপত্তিকর ছবি পোস্ট করেন। এর প্রেক্ষিতে ওই নারী নেত্রী গত ১৯ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া থানায় একটি অভিযোগ দেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ বুধবার বিকেলে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলাটি নথিভুক্ত করে।
লিখিত অভিযোগে ওই নারী নেত্রী বলেন, ‘আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে অভিযুক্তরা আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। ’
এ দিকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে শহরের জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে আসামিরা ও বড় বাজার এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে ওই নারী নেত্রী একই সময় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে পাল্টাপাল্টি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এ সময় ওই নারী নেত্রী বিচার না পেলে আত্মহত্যার হুমকিও দেন।
সংবাদ সম্মেলনে নওরিন অভিযোগ করে বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার অভিযোগ দিলেও থানায় তা পর্নোগ্রাফি আইনের মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
news24bd.tv/মামুন